বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
সহিংসতা-বিক্ষোভে এ পর্যন্ত নিহত ২২

ইরানের অশান্তির পেছনে দুশমনদের হাত : খামেনি

ইরানের অশান্তির পেছনে দুশমনদের হাত : খামেনি

সামাজিক মাধ্যমের এই ছবিতে রাজধানী তেহরানের এক রাস্তায় বিক্ষোভের দৃশ্য —রয়টার্স

ইরানজুড়ে চলমান বিক্ষোভ ও সহিংসতার জন্য ‘দুশমনদের’ দায়ী করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। দেশটিতে গত ২৮ ডিসেম্বর সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর এই প্রথম এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সঠিক সময়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলেও জানিয়েছেন খামেনি। এদিকে, বিক্ষোভের ষষ্ঠতম রাতে সোমবার এক দিনেই  মধ্যাঞ্চলীয় ইসফাহান অঞ্চলে নিরাপত্তাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে কমপক্ষে ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে টানা ছয়দিনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সোমবার পর্যন্ত কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরও অন্তত সাড়ে চার শতাধিক মানুষ।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দ্বিতীয় জনবহুল শহর মাশহাদে গত বৃহস্পতিবার সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এ বিক্ষোভ ইতিমধ্যে রাজধানী তেহরান, মধ্যাঞ্চলীয় ইসফাহান, পশ্চিমাঞ্চলীয় কেরমানশাহ ও খোরামাবাদ, উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শাহিনশাহর এবং উত্তরাঞ্চলীয় জানযান শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে। দিন যত যাচ্ছে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা ততই বাড়ছে। গতকাল ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়, মধ্যাঞ্চলীয় ইসফাহানের কাহদেরিজান শহরে একদল বিভোক্ষকারী একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়। এ সময় বিক্ষোভাকারীরা স্টেশন থেকে অস্ত্রশস্ত্র লুট করে নেওয়ার চেষ্টা করতে গেলে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। আর তখনই ছয় বিক্ষোভকারীসহ নিহত হন। আর পার্শ্ববর্তী কাহরিজসাং এলাকায় সংঘর্ষে রেভল্যুশনারি গার্ডের এক সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া খামেনিশহরে সংঘর্ষের সময় ১১ বছরের এক ছেলে ও ২০ বছরের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়, ইসফাহানের কাছে নাজাফাবাদে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করা হলে এতে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং আরও অন্তত তিনজন আহত হন। গত কয়েক দিনের বিক্ষোভের প্রথম দিকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বাকি ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ইরানের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে গতকাল পর্যন্ত অন্তত ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী। এদিকে ইরানজুড়ে চলমান বিক্ষোভকে রাশিয়া দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হিসেবেই দেখছে। এক্ষেত্রে বাইরের কারও হস্তক্ষেপকে মস্কো অগ্রহণযোগ্য হিসেবেই বিবেচনা করবে বলেও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। বিবিসি, সিএনএন, রাশিয়া টুডে।

 

 

সর্বশেষ খবর