সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিরিয়ায় ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি

নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন

অবশেষে সিরিয়ার পূর্ব ঘুটায় ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।  নিরাপদে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো এবং অসুস্থ ও আহতদের সরিয়ে নিতে শনিবার পরিষদের সব সদস্যের সম্মতিতে এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

প্রস্তাবের আওতায় ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী ও তাদের সিরীয় সহযোগীদের না রাখায় যুদ্ধবিরতি কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে পর্যবেক্ষকরা সন্দেহ পোষণ করছেন। গত সপ্তাহ থেকে রাজধানী দামেস্কের নিকটবর্তী বিদ্রোহীদের শক্তিশালী ঘাঁটি পূর্ব ঘুটায় সরকারি বাহিনী টানা বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ হামলায় প্রায় ৫০০ লোক নিহত হয়েছে। একই সময়ে দামেস্কে বিদ্রোহীদের গোলাবর্ষণে ১৬ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। যুদ্ধবিরতির জন্য বৃহস্পতিবার থেকে নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব আনার চেষ্টা চললেও স্থায়ী সদস্য দেশগুলো একমত না হওয়ায় দেরি হচ্ছিল। শনিবার নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের পরও ওই এলাকায় বিমান হামলা অব্যাহত ছিল বলে সেখানে থাকা ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন। প্রস্তাবের খসড়ায় কেবল মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল- কায়েদা ও নুসরা ফ্রন্টকে যুদ্ধবিরতির বাইরে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে রাশিয়া এর সঙ্গে জঙ্গিদের ‘সহায়ক গোষ্ঠীগুলোকেও’ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়। চূড়ান্ত প্রস্তাবে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সহযোগী ‘ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ’কে সুনির্দিষ্ট করে এসবের ওপর হামলাকেও যুদ্ধবিরতির আওতার বাইরে রাখা হয়। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দ্রুত কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে আসাদ প্রশাসন এ প্রস্তাব মানবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। ‘মধ্যস্থতা দীর্ঘায়িত’ করার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে তিনি বলেছেন, ‘প্রস্তাব অনুমোদনে তিন দিন লেগেছে, এর মধ্যেই বোমা ও গুলিবর্ষণে অনেক মা তার সন্তানকে হারিয়েছেন।’ জাতিসংঘে ফ্রান্সের প্রতিনিধি ফ্রাঙ্কো দেলাত্রেও সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি থামাকে ‘অনেক দেরি হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেন। কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের ব্যর্থতারও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভেসিলি নেবেনজিয়া বলছেন, যুদ্ধে নিয়োজিত সবপক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হবে না। বিদ্রোহী অধ্যুষিত পূর্ব ঘুটার পরিস্থিতি নিয়ে অতিরঞ্জনেরও প্রতিবাদ জানান তিনি। ‘সিরিয়ার মানবিক পরিস্থিতি যে ভয়াবহ, তা আমরা জানি। সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াও দরকার; তবে কেবল পূর্ব ঘুটাই নয় পুরো সিরিয়ায় এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেন নেবেনজিয়া। বিবিসি।

 

সর্বশেষ খবর