রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

কোথায় বসছে ট্রাম্প-কিম বৈঠক?

কোথায় বসছে ট্রাম্প-কিম বৈঠক?

কয়েক মাস আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একে অপরকে কটাক্ষ ও গালিগালাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র হামলার হুমকি। কিন্তু গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিক ওই উত্তেজনাকে একেবারে শীতল করে দিয়েছে। তার আলোকেই ট্রাম্পকে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পকে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ দাওয়াত গ্রহণ করার পর সারা দুনিয়ায় হৈচৈ পড়ে গেছে বললে একটুও কম বলা হয় না। দুই নেতা যে আলোচনায় বসছেন তার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প নিজেই। কিমের আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার একদিন পর এক টুইটে লিখেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি এবং বৈঠক হবে, যদি বৈঠক ঠিকমতো শেষ হয় তবে সেটা বিশ্বের জন্য খুব ভালো হবে। সময় এবং স্থান পরে জানান হবে।’

দুই নেতা যে আলোচনায় বসবেন এর গুরুত্ব-তাৎপর্য কত? এ নিয়ে এখন বিশ্লেষকদের মধ্যে চলছে তুমুল বিশ্লেষণ। প্রেসিডেন্ট নিক্সন যখন চীনের চেয়ারম্যান মাও সেতুং-এর সঙ্গে দেখা করেছিলেন— ট্রাম্প-কিম বৈঠকের তাৎপর্য প্রায় তার সঙ্গে তুলনীয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন-কোরিয়া ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক মাইকেল ম্যাডেন। এই প্রথম উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হবে। কি করে এটা সম্ভব হলো? কেউ বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা মুন জে-ইনের কূটনৈতিক প্রতিভা, কেউ আবার বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপজ্জনক চাল দিয়ে খেলায় জিতে আসার ক্ষমতা একে সম্ভব করেছে। তবে সিউল থেকে বিবিসির লরা বিকার বলছেন, এ রাজনৈতিক জুয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়তো কিম জং উনেই - যিনি এখন পর্যন্ত কোনো কথাই বলেননি। মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স অবশ্য বলেছেন, এটা প্রমাণ করে যে আমেরিকার কঠোর নীতিতে কাজ হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ বৈঠকের খবর জানানোর পর এখন পর্দার পেছনে কী ঘটবে? বৈঠকটি কোথায় কখন হবে সে সম্পর্কে এখনো জানা যাচ্ছে খুবই কম। হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে যে এ বৈঠক হবে মে মাসের মধ্যে। কোথায় হবে তা ঠিক হয়নি। ম্যাডেন বলছেন এ বৈঠক উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তের মধ্যেকার যুদ্ধমুক্ত গ্রাম পানমুনজমে হতে পারে। অন্য আরেক বিশ্লেষক কোরিয়া ওয়ার্কিং গ্রুপের ড. জন পার্ক বলেছেন, বৈঠকটি চীনে বা অন্য কোনো নিরপেক্ষ বা তৃতীয় দেশে হতে পারে। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর