কোরীয় উপদ্বীপে অবশেষে শান্তির বাতাস বইতে শুরু করেছে। ‘রকেটম্যান’ আখ্যা পাওয়া উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন পরমাণু যুদ্ধের হুমকি-ধমকি থেকে বের হয়ে শান্তির পথ খুঁজতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহে তিনি চার দিনের গোপন সফর করেন চীনে। ২০১১ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর এই প্রথম কোনো বিদেশ সফর কিমের। সেই গোপন সফরের আলোচনা শেষ না হতেই নতুন সুসংবাদ দিয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। আগামী মাসের ২৭ তারিখ একটি বৈঠকে মিলিত হতে সম্মত হয়েছে দুই কোরিয়ার শীর্ষ নেতা। দুই দেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২৭ এপ্রিল দুই দেশের সীমান্তবর্তী যুদ্ধমুক্ত গ্রাম পানমুনজমে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তাহ খানেক আগে দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেত্রীকরণ মন্ত্রীর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দুই কোরিয়ার মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার কাছ থকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকের জন্য সীমান্তবর্তী পানমুনজম গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য আন্তঃকোরিয়া সম্মেলনের জন্য এপ্রিলের শেষের দিকে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পানমুনজম হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক গ্রাম যেখানে ১৯৫৩ সালে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তির ফলে যুদ্ধ কার্যত থেমেও গিয়েছিল। গার্ডিয়ানের গতকালের খবরে বলা হয়েছে, দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা আন্তঃ-সম্মেলনের বিরল উদ্যোগটির ব্যাপারে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, এপ্রিলের ২৭ তারিখ দ. কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন উ. কোরীয় নেতা কিম। এই বৈঠকের সফলতার ওপর নির্ভর করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের বৈঠক। আগামী মে মাসে ওই বৈঠক হওয়ার কথা।