বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে?

মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের কাছে বাজার খুলে দিয়ে আমেরিকার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তার মতে শুধু ২০১৭ সালে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি ৮০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আর এই ঘাটতির প্রধান কারণ চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান ভারসাম্যহীনতা। তার কথা- চীনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নানা কারসাজি করে শুধু জিনিস বিক্রি করা যার পরিণতিতে আমেরিকার শত শত শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে।

এ অবস্থায় চীন থেকে আমদানি করা ১৩০০ পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র ২৫ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এরপর বেইজিংয়ের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। হোয়াইট হাউস বলছে, মেধাস্বত্ব অধিকার বিষয়ে চীনের অন্যায্য চর্চার কারণেই আমদানি পণ্যে এ অতিরিক্ত শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিস্তৃত এ তালিকায় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, টেলিভিশন ও মোটরসাইকেলের মতো পণ্য আছে আর মার্কিন এই পদক্ষেপের ‘তীব্র নিন্দা ও দৃঢ় বিরোধিতার’ কথা জানিয়েছে বেইজিং। গতকাল ওয়াশিংটনে চীন দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের একতরফা ও সংরক্ষণবাদী পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মৌলিক নীতি ও মূল্যবোধের গুরুতর লঙ্ঘন।’ বেইজিং বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ চীন-মার্কিন কোনো দেশেরই স্বার্থ রক্ষা করবে না; এটি বিশ্ব বাজারের স্বার্থও ক্ষুণ্ন করবে। এর আগে ট্রাম্প অ্যালুমিনিয়াম এবং ইস্পাতসহ শত শত চীনা আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ওই সব পণ্যের আমদানি মূল্য ৬,০০০ কোটি ডলার হতে পারে। এরপর গত সোমবারে এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীন মার্কিন মদ, শুয়োরের মাংস, ফলসহ ৩০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক বসিয়েছে। বিশ্বের এক নম্বর এবং দুই নম্বর অর্থনীতির মধ্যে এই বাণিজ্য যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ গভীরতর হচ্ছে। ট্রাম্প এই উদ্বেগকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন-বাণিজ্য যুদ্ধ ভালো এবং আমেরিকার তাতে কোনো ক্ষতি নেই, বরঞ্চ লাভ। এই যুদ্ধে কি সত্যিই তিনি জিতবেন? অধিকাংশ বিশ্লেষক মনে করেন, বাণিজ্যের লড়াই এমন এক লড়াই যেটাতে জেতা ভীষণ কঠিন। বিবিসি

সর্বশেষ খবর