শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

আইএস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ায় থাকছে মার্কিন সেনা

আইএস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ায় থাকছে মার্কিন সেনা

যুক্তরাষ্ট্রের  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে ‘শিগগিরই’ মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে গত সপ্তাহে ঘোষণা করলেও আপাতত তা হচ্ছে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প অনিচ্ছা সত্ত্বেও জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) পুরোপুরি পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ায় সেনা রাখতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সিরিয়ায় আইএস প্রায় নির্মূল হয়ে এসেছে এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের  অভিযানও ‘দ্রুতই শেষ হয়ে আসছে’ বলে  হোয়াইট হাউস বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। তবে সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেনি। বিবৃতিতে কেবল বলা হয়, ‘সিরিয়ায় আইএস এর যতটুকু কর্তৃত্ব এখনো আছে তাও শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ ট্রাম্প গত সপ্তাহে সিরিয়া থেকে অবিলম্বে মার্কিন সেনা ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিলেও তার উপদেষ্টারা এর ফলে সেখানে জঙ্গিদের পুনরুত্থানের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় ওই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটতে ট্রাম্পকে রাজি করান। ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এনবিসি নিউজকে বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে এক  বৈঠকে ট্রাম্প সিরিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সেনা রাখতে রাজি হয়েছেন। কুর্দি এবং আরব মিলিশিয়া ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স’ (এসডিএফ) জোটের সমর্থনে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মোতায়েন আছে প্রায় ২ হাজার মার্কিন সেনা। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহায়তায় এসডিএফ যোদ্ধারা গত তিন বছরে বহু এলাকা থেকে আইএস কে বিতাড়িত করেছে।

স্থিতিশীলতায় কাজ করবে তিন দেশ : সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক শীর্ষ বৈঠকের পর দেওয়া এক যৌথবিবৃতিতে এ প্রতিশ্রুতি দেন দেশ তিনটির নেতারা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিরিয়ায় মাটি শান্ত করতে উদ্যোগ ত্বরান্বিত করব আমরা।’ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ওই বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘সিরিয়ার পরিস্থিতির উন্নতি দেখিয়েছে, সিরীয়  প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের নিজেদের স্বার্থ বজার রাখার জন্য তারা নিরাপত্তাহীনতায় ইন্ধন জোগাতে চেয়েছিল কিন্তু কোনো সাফল্যই পায়নি তারা।’ এনবিসি নিউজ, রয়টার্স।

সর্বশেষ খবর