বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিরিয়ায় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রিটেন ও ফ্রান্স

মার্কিন প্রশাসন সিরিয়ায় সামরিক হামলা অত্যাসন্ন বলে হুমকি দিয়েছে। আর রাশিয়া বলেছে, এমন হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে।

এদিকে লন্ডনের অনলাইন দ্য ডেইলি মেইল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিয়ে সিরিয়া হামলায় যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রিটেন। সামরিক বিভিন্ন শাখার প্রধানদের এ পরিকল্পনা সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোর অনুমতি চেয়েছিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। কিন্তু হাউস অব কমন্স তাকে সেই অনুমোদন দেয়নি। তবে এবার প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই অভিযানে যোগ দিতে পারেন। এ ইস্যুতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে বিতর্কের জন্য ইস্টার উপলক্ষে ছুটিতে থাকা এমপিদের হোয়াইট হলে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।  প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট  আসাদের প্রধান মদদদাতা হলো রাশিয়া। যদি দামেস্কের কাছে রাসায়নিক গ্যাস হামলার জন্য দায়ী পাওয়া যায় রাশিয়াকে এর জন্য জবাব দিতে হবে।

এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হলে সামরিক হামলার হুমকি আগেই দিয়ে রেখেছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাদের পদক্ষেপ সমন্বিত করার জন্য ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বার টেলিফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। ইঙ্গিতে ম্যাক্রোঁ সিরিয়ায় হামলার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।

সিরিয়া ইস্যুতে সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এমন মুখোমুখি অবস্থান নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ না নিলেও ওয়াশিংটন এই হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সময়ে উপনীত হয়েছি যখন বিশ্বকে অবশ্যই ন্যায়বিচার দেখাতে হবে।’ এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকির মধ্যে রাশিয়া বলেছে, ‘রাসায়নিক হামলার কথিত অজুহাতে সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিরিয়ার ব্যাপারে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

সর্বশেষ খবর