শনিবার, ১২ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক ১২ জুন, সিঙ্গাপুরে

ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক ১২ জুন, সিঙ্গাপুরে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার শীর্ষ বৈঠকটি হবে সিঙ্গাপুরে। আর এটা আগামী মাসের ১২ তারিখ। এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, দুই নেতাই চেষ্টা করবেন যেন এ বৈঠকটি বিশ্বশান্তির জন্য একটা অনন্য মুহূর্ত হয়ে ওঠে। শীর্ষ বৈঠকটির লক্ষ্য হবে ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমিয়ে আনা এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির একটা সম্ভাব্য সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা করা। উত্তর কোরিয়ার হাতে আটক থাকা তিনজন আমেরিকানের মুক্তির কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্পের দিক থেকে এ ঘোষণা এলো। উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও স্থগিত করবে। ট্রাম্প প্রশাসন এর জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপকেই বার বার কৃতিত্ব দিয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়া বলেছে, তাদের প্রশাসন এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করছে বলেই তাদের অবস্থানের এ পরিবর্তন। এর আগে উত্তর কোরিয়ায় আটক থাকা তিন আমেরিকান নাগরিকের মুক্তির পর তাদের ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অ্যান্ডরুজ বিমান ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প কিম হাক সং, টনি কিম এবং কিম ডং চোলকে দারুণ মানুষ বলে অভিহিত করেন। তাদের মুক্তির পেছনে ভূমিকা রাখাকে তিনি সম্মানের বলেও উল্লেখ করেন। মুক্তি পাওয়া তিনজনের দুজন উত্তর কোরিয়ায় ইভানজেলিকাল খ্রিস্টানদের প্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কাজ করতেন। তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন একজন খ্রিস্টান যাজক। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর পিয়ংইয়ং সফরকালে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়েই মূলত আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই পিয়ংইয়ংয়ের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র পরিহারের দাবি জানিয়ে আসছে।

তবে উত্তর কোরিয়া বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে কিছু জানায়নি বা তারা কী প্রস্তাব দিতে পারে তারও কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি এবং উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া নিয়েই প্রধানত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা বৈঠকের আয়োজক দেশ হতে পেরে আনন্দিত। এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তির সম্ভাবনা জেগে উঠবে বলেই তারা আশাবাদী। সিঙ্গাপুরে এর আগেও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। ২০১৫ সালে চীন এবং তাইওয়ানের দুই নেতা সিঙ্গাপুরেই ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম ঐতিহাসিক বৈঠক করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও সিঙ্গাপুরের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। তবে উত্তর কোরিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার পর গত বছর নভেম্বরে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে সিঙ্গাপুর। এএফপি, বিবিসি

সর্বশেষ খবর