শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

হিন্দুত্ববাদীদের মঞ্চে প্রণব

শোনালেন সহিষ্ণুতার বাণী

হিন্দুত্ববাদীদের মঞ্চে প্রণব

ভারতের হিন্দু পুনরুত্থানবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-এর সদর দফতর নাগপুরে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আজীবন কংগ্রেস রাজনীতির মানুষ ও ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। নিজে যে রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করে এসেছেন সারা জীবন, তার ঠিক বিপরীত মেরুতে অবস্থানরত একটি সংগঠনের সভায় যেতে তিনি কেন রাজি হলেন আর সেখানে ভাষণে কী বলেন, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল।

প্রণব মুখার্জি তার ভাষণে জাতীয়তাবাদ, দেশভক্তি নিয়ে যেমন কথা বলেছেন, তেমনি উল্লেখ করেছেন, পরমতসহিষ্ণুতা প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে থেকেছে। সহিষ্ণুতাই আমাদের শক্তি। বহুত্ববাদকে ভারত বহু আগেই স্বীকার করেছে। ভারতের জাতীয়তাবাদ কোনো একটি ধর্ম বা জাতির জাতীয়তাবাদ নয়। আমরা সহমত হতে পারি, নাও হতে পারি। কিন্তু চিন্তার বিবিধতাকে বাধা দিতে পারি না। সহিষ্ণুতা, বহুত্ববাদ, বহুভাষা- এগুলোই আমাদের দেশের অন্তরাত্মা। সাম্প্রতিক সময়ে বার বারই ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যে পরমত অসহিষ্ণুতার অভিযোগ উঠেছে, সেই তাদেরই সদর দফতরে গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট শুনিয়েছেন, অসহিষ্ণুতার বাণী।

কিন্তু বৃহস্পতিবার আরএসএস প্রধান, সরসংঘ প্রধান মোহন ভাগবতও অসহিষ্ণুতার কথা বলেছেন। হঠাৎ করে পরমতসহিষ্ণুতা কথা কেন বলতে শুরু করল আরএসএস? বিশ্লেষক বলেছেন, প্রণব মুখার্জির মতো একজন আজীবন কংগ্রেস নেতাকে নিজেদের মঞ্চে হাজির করে আরএসএস হয়তো এটা প্রমাণ করতে চেষ্টা করবে, তারা বিপরীত মতাদর্শের মানুষদের কথাও মন দিয়ে শোনে। তবে প্রণব মুখার্জির এই উপস্থিতিকে কংগ্রেস একদমই পছন্দ করছে না। শুধু তাই নয়, প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি, যিনি দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র তিনিও বুধবার টুইট করে তার বাবার সিদ্ধান্তকে প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছেন। কোনো কোনো বিশ্লেষক লিখেছেন, ভারতে এখন আলোচিত হচ্ছে যে, তিনি কি তাহলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন? বিবিসি

সর্বশেষ খবর