ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের আগামী মার্চে চূড়ান্ত বিচ্ছেদের কথা রয়েছে। কিন্তু এই বিচ্ছেদের যে চুক্তি তা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মেকে দেশটির পার্লামেন্টে পাস করাতে হবে। আর এই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মে। এ ভোট গত সপ্তাহে হওয়ার কথা থাকলেও মে তা পিছিয়ে দিয়েছিলেন। ভোটাভুটিতে ব্রেক্সিট চুক্তিটি পাস না হওয়ার আশঙ্কার কারণেই মে ওই পদক্ষেপ নেন। এতে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পরিকল্পনা আরও অনিশ্চয়তায় পড়ে। এরপর মে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আশঙ্কার জায়গাগুলো ইইউ’র কাছ থেকে আরও স্পষ্ট করে জানার চেষ্টা নেন। এরপরই ফের ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করলেন তিনি। সেসঙ্গে মে সবাইকে একথা বলেও আশ্বস্ত করেন যে, আইরিশ সীমান্ত নিয়ে যুক্তরাজ্যের যে আশঙ্কা ছিল তা ইইউ দূর করেছে। কমন্সের এক বিবৃতিতে মে বলেন, পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার আগে ৭ জানুয়ারি থেকে এমপি’রা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে বিতর্ক শুরু করবেন। এরপরই পরবর্তী সপ্তাহে ভোট হবে। যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আর মাত্র তিন মাসের কিছু বেশি সময় বাকি। ফলে তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে পার্লামেন্টের অনেক সদস্যই চিন্তিত সেটি জানেন উল্লেখ করে মে বলেন, গত সপ্তাহে ইইউ সম্মেলনে গিয়ে তিনি ব্রেক্সিট চুক্তির বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে নতুন করে আশ্বাস এবং নিশ্চয়তা পেয়েছেন।