শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ট্রাম্পকে ‘বাই’ জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাটিস

ট্রাম্পকে ‘বাই’ জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাটিস

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিত্র ও তার সহকর্মীদের অন্ধকারে রেখে হঠাৎ ঘোষণা করে বসেন সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের শিগগিরই ফেরত আনা হবে। তার এ সিদ্ধান্ত সবাই মেনে নেবে এমন দেশ যে আমেরিকা নয়, তার প্রমাণ দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। দেশটির সাবেক এই জেনারেল ট্রাম্পের ঘোষণার পরদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা দিয়েছেন। অবশ্য ট্রাম্প বলছেন, ম্যাটিস অবসরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন আগামী ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ম্যাটিস ‘সসম্মানে’ দায়িত্ব থেকে অবসরে যাচ্ছেন। শিগগিরই নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নামও ঘোষণা করা হবে, বলেন তিনি। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, অবসর নয়, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েই ম্যাটিস পদত্যাগের এই ঘোষণা। পদত্যাগপত্রে ম্যাটিস লিখেছেন, তার দর্শন ছিল ‘মিত্রদের মর্যাদার সঙ্গে দেখা’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের সব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে’ একটি সাধারণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা দাঁড় করানো। বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘এসব ও অন্যান্য বিষয়ে আপনার বিবেচনার সঙ্গে খাপ খায় এমন কাউকেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বানানোর অধিকার আপনার রয়েছে। আমার মনে হয়, সরে দাঁড়ানোর এটিই সঠিক সময়।’ ম্যাটিসের পদত্যাগ রিপাবলিকান পার্টির ভিতরেও তুমুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সিনেটর মার্কো রুবিও একে ‘ভীতি উৎপাদক’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের ভিতর বিশৃঙ্খলার মধ্যেও জেনারেল ম্যাটিস ছিলেন স্থিতিশীলতার প্রতিমূর্তি।’ টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘জেনারেল ম্যাটিসের পদত্যাগের চিঠি পড়লাম। এটা থেকে স্পষ্ট যে, আমাদের নীতি ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে, যা রাষ্ট্রের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। পাশাপাশি আমাদের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে।’ ট্রাম্পের অবিরাম পরিবর্তিত মন্ত্রিসভার শক্তিশালী সদস্য ছিলেন চার তারকার অধিকারী এই জেনারেল, যিনি একসময় নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। গত পাঁচ মার্কিন প্রেসিডেন্টের তুলনায় ট্রাম্পের শাসনামলে মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বেশি রদবদল হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার দাবি জানিয়ে ট্রাম্প বুধবার সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সৈন্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়ে। রিপাবলিকান পার্টির সিনেটররা বলছেন, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হলে ওই অঞ্চলে ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব বেড়ে যাবে। এএফপি

সর্বশেষ খবর