আর সোয়া দুই মাস। তারপরই মার্কিন মুলুকে নির্বাচন। মহামারী করোনাকে তুড়ি মেরে রিপাবলিকান ও বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে লড়াই জমে উঠেছে।  ডেমোক্র্যাটরা তাদের প্রার্থী পেয়ে গেছে। দুই-একদিনের মধ্যেই রিপাবলিকানরাও পাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ট্রাম্পেই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন রিপাবলিকের। কিন্তু দিন যতই   যাচ্ছে ততই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের  জমি আলগা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর। এরই মাঝে ফের চাঞ্চল্যকর সংবাদ দিল সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে নিজ দলের জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকজনের সমর্থন হারাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। গতকাল মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) ও তদন্ত সংস্থা এফবিআই’র সাবেক প্রধানসহ ৭০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে সমর্থন দিতে যাচ্ছেন। তারা মনে করেন, ট্রাম্প ‘দুর্নীতিবাজ’ ও প্রেসিডেন্ট হওয়ার ‘অযোগ্য’।

বিবিসি জানাচ্ছে, আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে সরকারে থাকা রিপাবলিকানদের হয়ে দ্বিতীয়বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে নেমেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি এমনই যে, বন্ধু দেশগুলি বিরক্ত। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিতর্কিত ভূমিকা, মন্দার দিকে দেশকে চালিত করা, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নরম ভাব দেখায় ট্রাম্পের সরকার। এর ফলে জাতীয় নির্বাচনে পাল্লা ভারি হচ্ছে ডেমোক্র্যাটদের।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (গতকাল) মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে একটি পূর্ণাঙ্গ পৃষ্ঠার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাইডেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তারা। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের দেশকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করেছেন। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিত।’ সিএনএন বলছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত চার বছরে অনেকটা সমর্থন হারিয়েছেন ট্রাম্প। তার দল রিপাবলিকান সমর্থকদের বড় অংশ মুখ ঘোরাতে শুরু করেছেন। রয়টার্স জানাচ্ছে, সরকারের অন্দরমহলে ক্ষোভ প্রবল।