শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

আছড়ে পড়ছে বিরল ‘ফায়ার-টর্নেডো’

আছড়ে পড়ছে বিরল ‘ফায়ার-টর্নেডো’

ঘূর্ণিঝড়ের মতো আকাশে হাওয়ায় উড়ছে আগুন। ছড়িয়ে পড়ছে ধোঁয়া আর ছাই। এলাকার সব ঘর-বাড়িগুলোকে রক্ষা করতে কাজ করছে দমকলকর্মীরা। নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় এমন ঘটনাই ঘটেছে। ছেয়ে আছে ফায়ার ক্লাউড বা আগুন থেকে তৈরি মেঘ। গত সপ্তাহের শেষেই ওই অঞ্চলে সেই মেঘ তৈরি হয়েছে। লয়ালটন নামে এক ছোট শহরে সেই টর্নেডো দেখা যাচ্ছে। যখন প্রবল বেগে হাওয়া আগুনের সংস্পর্শে আসে, তখনই এ রকম ঘটনা ঘটে। আর সেটাই হয়েছে ওই এলাকায়। আগুনের শিখা ঘুরে ঘুরে আকাশের দিকে উঠে যায় এই ধরনের টর্নেডো। ইতিমধ্যেই ফায়ার টর্নেডো নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এলাকা ফাঁকা করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে জঙ্গলে আগুন জ্বলছে। লয়ালটনের অনন্ত ২২ হাজার একর জায়গা ভস্মে পরিণত হয়েছে। চারপাশে শুধুই গরম আর শুকনো আবহাওয়া। ক্যালিফোর্নিয়ার পাশাপাশি নাভেদা থেকে দমকলকর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।

কী এই ফায়ার টর্নেডো : যে অঞ্চলে প্রবল অগ্নিকা- হয়, তার মাথায় তৈরি হয় এক বিশেষ ধরনের মেঘ। আর সেই মেঘ হয় মারাত্মক, সেখান থেকে কী হতে পারে, তা বোঝা মুসকিল। আসলে আগুন থেকে যে বিপুল পরিমাণ তাপ নির্গত হয়, তা থেকেই তৈরি হয় এই মেঘ। আর তৈরি হয় প্রবল বেগের হাওয়া, যা ঘুরপাক খেতে খেতে এগোতে থাকে। আর সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে পড়তে পারে কয়েক শ মিটার এলাকা। গাছপালাও উপড়ে যেতে পারে। এর আগে ২০০৩ সালে ক্যানবেরার দাবানল থেকে তৈরি হয়েছিল এমন একটি ফায়ার টর্নেডো। জ্বলে গিয়েছে ৫০০  বাড়ি, বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছিল সেই   আগুনে। এ ছাড়া গত ডিসেম্বরে এমনই এক ঘটনায় মৃত্যু হয় এক দমকলকর্মীর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর