মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ইসলামী বিশ্বের নেতার ভূমিকা নিতে তুরস্কের অবিরাম জোর চেষ্টা

মদদ দিচ্ছে চীন ও পাকিস্তান

প্রতিদিন ডেস্ক

সৌদি আরবকে সরিয়ে দিয়ে ইসলামী বিশ্বের নেতৃত্ব কব্জা করার জন্য তুরস্ক ‘অবিরাম জোর প্রচেষ্টা’ চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষার্জনে তাকে মদদ দিচ্ছে চীন ও পাকিস্তান। ‘ইউরএশিয়ান টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদক সৈয়দ শফিক জানান, সৌদি নিয়ন্ত্রিত ওআইসির গুরুত্ব খাটো করার জন্য গত বছর মালয়েশিয়া মুসলিমদের জন্য আরেকটি ফ্রন্ট গঠনের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরে শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। এটাই ছিল সৌদি আরবকে হটানোর প্রথম আলামত।

প্রতিবেদক বলেন, হেগিয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তর করায় তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের সম্ভাবনা ‘চুরমার’ হয়ে গেছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সরকার পাকিস্তান ও কাশ্মীরি জঙ্গিদের খোলাখুলি সমর্থন দেওয়ায় তুরস্ক ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।

 

তুরস্ক ও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিষয়ে একে অন্যকে অনবরত সমর্থন জোগায় বটে। তবু একটা খটকা আছে। চীনের কমিউনিস্ট সরকার জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলমানদের ওপর যে জুলুম চালাচ্ছে তার নিন্দা জানানোর প্রশ্নে ‘দুই লৌহভ্রাতা’র মধ্যে গুরুতর মতভেদ চলছে।

জিনজিয়াংয়ে ‘জঘন্য নীতি’ প্রয়োগের জন্য চীনের নিন্দায় সব সময় তুরস্ক মুখর। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে নিবিড় দোস্তির কারণে ইস্টার্ন তুর্কিস্তান ইসলামী মুভমেন্টের সদস্যদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে বদনাম করে চলেছে পাকিস্তান।

ব্যাপারগুলো এমন সময় ঘটছে যখন রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তুরস্ক আর দেশটির সম্পর্ক অবনত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়    ইউনিয়নের সঙ্গে।

আগস্টের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত একটি মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়,   আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক দেশের জন্য যে মূলনীতি স্থির করেছিলেন তার অন্যতম হলো সহিষ্ণুতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ইউরএশিয়ান টাইমস জানায়, এরদোগান   ওসবের পরোয়া করছেন না। তিনি তুরস্ককে ইসলামী স্টেটের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর আঞ্চলিক অভয়াশ্রম করে তুলেছেন।

সর্বশেষ খবর