শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর

নতুন ভারত তৈরির এক মহান প্রতিষ্ঠান : মোদি

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

নতুন ভারত তৈরির এক মহান প্রতিষ্ঠান : মোদি

শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের সূচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ‘হে বিধাতা! দাও, দাও, মোদের গৌরব দাও’ রবীন্দ্রনাথের এ বাণী দিয়েই নিজের বক্তব্য শুরু করেন তিনি। মোদি বলেন, বিশ্বভারতী নতুন ভারত তৈরির এক মহান প্রতিষ্ঠান। এটি দেশকে শক্তি জুগিয়েছে, আত্মনির্ভর করার মন্ত্র ও শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন রূপ দিয়েছে। ভারতকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠা করেছে। অনুষ্ঠানে মোদির ৩৫ মিনিটের বক্তব্যে একাধিকবার উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক, শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। বিশ্বভারতীর ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি বলেন, গুরুদেবের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) চিন্তা, দর্শন ও পরিশ্রমের ফল বিশ্বভারতী। তিনি ভারতের জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বিশ্বভারতী তার বাস্তব রূপ। নতুন ভারতের নির্মাণে সব রকম প্রয়াসে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বভারতীর অবদান রয়েছে ভারতের অগ্রগতির ক্ষেত্রেও। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও ভারতের স্বাধীনতার  সময় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের জাতীয়তাবাদী অনুভূতির  একটা শক্তিশালী ভাবমূর্তি তুলে ধরেছিল।’

তাঁর অভিমত, ‘জ্ঞানের আন্দোলনকে বিশ্বভারতী নতুন পথ দেখিয়েছে, যাতে রাষ্ট্রবাদের নতুন দিক প্রসারিত হয়েছে। ভারতের চিন্তার ধারা কবির দর্শনেও ছিল। এ দর্শনই বিশ্বকে ভারতের সঙ্গে পরিচিত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের আত্মা, আত্মনির্ভরতা ও আত্মসম্মান একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। ভারতের আত্মসম্মান রক্ষার জন্য বাংলা নিজেদের উৎসর্গ করেছিল। ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বীণা দাস- এ রকম অসংখ্য মানুষ আছেন যাঁরা দেশের জন্য হাসতে হাসতে মৃত্যুকে বরণ করেছেন।’ করোনার আবহে এবার শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আয়োজন করা যায়নি।

তবে এদিনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অনুপস্থিত ছিলেন। রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, বিশ্বভারতীর তরফে মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। বিশ্বভারতী ১৯২১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫১ সালে এটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর ছাত্রছাত্রী এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রাক্তনের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, অস্কারজয়ী চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর