বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

মার্কিন ভেটোতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে পারল না জাতিসংঘ

মার্কিন ভেটোতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে পারল না জাতিসংঘ

নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ব্যবহার করা হচ্ছে এসব অস্ত্র -এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ থামাতে চায় না। আর এই আশকারায় আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘে দীর্ঘ বৈঠক হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে ভেটো দিয়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বহু আলোচনার পরেও ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যে হামলা চালাচ্ছে তা বন্ধ করার বিবৃতি ঘোষণা করতে পারল না জাতিসংঘ। যদিও এটাকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বলা হচ্ছে। অবশ্য এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতির বিবৃতি প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘে এ দিনের বৈঠকে ১৫টি দেশ আলোচনায় বসেছিল। এর মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি দেশ রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিবৃতি প্রকাশ করতে গেলে নয়টি দেশকে পক্ষে ভোট দিতে হয়। স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর কেউ ভেটো দিলে বিবৃতি প্রকাশ করা যায় না। মঙ্গলবারের বৈঠকে বিবৃতির বিরুদ্ধে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তা প্রকাশ করা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ঠিক বিপরীত অবস্থান নিয়েছিল ফ্রান্স। যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করে তারা। একই সঙ্গে মিসরকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যবহারের কথা বলা হয়। কিন্তু বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তও নেওয়া যায়নি। ইইউ অবশ্য দ্রুত যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পক্ষে। বøকের ২৭টি দেশ যুদ্ধবিরতির বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তবে ইইউয়ের পররাষ্ট্র পলিসির প্রধান জোসেফ বরেল জানিয়েছেন, হাঙ্গেরি ওই প্রস্তাবে সই করতে রাজি হয়নি। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা   মেরকেল এবং জর্ডনের রাজা দ্রুত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ঘটনার রাজনৈতিক সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত বলে মতপ্রকাশ করেছেন।

সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনার কথা বলেছিলেন বাইডেন। কিন্তু মঙ্গলবার প্রকাশ্য বিবৃতিতে আপত্তি জানায় আমেরিকা। অর্থাৎ একই ঘটনায় দ্বৈত নীতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ইসরায়েল এবং হামাসের লড়াই অব্যাহত। মঙ্গলবার ভোরেও গাজা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। হামাসও ইসরায়েলে রকেট ছুড়েছে।

এদিকে মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্ট দাবি করেছে, হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে আপত্তি নেই। কিন্তু যুদ্ধবিরতির যে শর্ত ইসরায়েল চাপাতে চাইছে, তাতে তাদের আপত্তি আছে। তাদের দাবি, ইসরায়েল বলেছে, হামাস গোলাবর্ষণ থামানোর দুই-তিন ঘণ্টা পরে ইসরায়েল বিবেচনা করবে, তারা গোলাবর্ষণ থামাবে কি না। হামাস চায়, একইসঙ্গে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে যাবে।

সর্বশেষ খবর