শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার উৎস কোথায়?

৯০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট চান বাইডেন

করোনার উৎস কোথায়?

দেড় বছর ধরে গোটা বিশ্বকে নাজেহাল করে চলেছে করোনাভাইরাস। কিন্তু কোথায় এর উৎপত্তি তার কোনো সুরাহা নেই। আর সময় দেওয়া যায় না। তাই তো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, এ তথ্য চাই-ই চাই। বন্যপ্রাণী থেকে উদ্ভূত হয়েছিল নভেল করোনাভাইরাস নাকি পরিকল্পনামাফিক চীনের গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে এ সংক্রামক ভাইরাসটি? এ নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ভাইরাসের উৎস খুঁজতে মার্কিন সংস্থাগুলোকে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। প্রয়োজনে আরও বেশি পরিশ্রমেরও পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ট্রাম্প-পরবর্তী সময়েও চীন-আমেরিকার দ্বন্দ্বের পারদ ফের চড়বে। হয়েছেও তাই। যুক্তরাষ্ট্রের এ তোড়জোড়ের মধ্যে চীন জানিয়েছে এটা নিয়ে রাজনীতি হলে তা তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে আর সেই সঙ্গে মহামারী দমনে বিশ্ববাসীর প্রচেষ্টাকেও খাটো করবে। বুধবার বিকালে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কিছু রাজনৈতিক শক্তি দোষ চাপানো এবং রাজনৈতিক কারসাজির পথ বেছে নিয়েছে।’ অন্যদিকে বাইডেন বলেছেন, ‘করোনার উৎপত্তি নিয়ে গোয়েন্দারা এখনো দ্বিধাবিভক্ত। কারোর দাবি চীনের পশুবাজার থেকে ছড়িয়েছে এ ভাইরাস, কেউ আবার বলছেন চীনের গবেষণাগারেই তৈরি হয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। কিন্তু কেউই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। আমি মার্কিন গোয়েন্দাদের উত্তর খুঁজতে ৯০ দিন সময় দিয়েছি। ধোঁয়াশা-মোড়া বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দরকার।’ বিশেষ করে এ বিষয়ে চীনের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এ বিষয়ে বাইডেন সমমনস্ক অন্যান্য দেশের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। যারা করোনার উৎপত্তিসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চীনের চাপ তৈরি করবে। আন্তর্জাতিক তদন্তেও চীনকে সহযোগিতা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার করোনা মোকাবিলায় হোয়াইট হাউসের প্রবীণ উপদেষ্টা অ্যান্ডি স্লাভিত বলেন, ‘এই গোটা ঘটনার গোড়ায় যেতে হবে। ভাইরাসটির উৎস সন্ধানে চীন থেকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতার প্রয়োজন। তবে এমনটা আদৌ হচ্ছে বলে আমরা মনে করি না।’ একই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফাউচি বলেন, ‘আমরা মনে করি এ বিষয়ে (করোনাভাইরাসের উৎস) তদন্ত চালিয়ে যাওয়া উচিত।’ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসকে ‘চায়না ভাইরাস’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, করোনা সংক্রমণের জন্য চীনই দায়ী। তাই চীনকে এ মহামারীর দায় নিতে হবে। দিন কয়েক আগে মার্কিন পত্রিকা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল করোনা নিয়ে আগে প্রকাশিত হয়নি এমন একটি মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়, উহানের একটি ল্যাবে কর্মরত তিনজন গবেষক অসুস্থতা নিয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনা প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে চীনের তথ্য প্রকাশের আগেই এ ঘটনা ঘটেছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এ প্রতিবেদনের পর উহানের ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে বিদ্যমান সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর