করোনা মহামারীতে থমকে দাঁড়ানো আমেরিকাকে সচল-সজীব করার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ২৮ মে ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট প্রস্তাব করেছেন। বাজেটে গত বছরের চেয়ে বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের পরিমাণ কিছুটা কমানো হয়েছে। এ বাজেট সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলছেন, খেটে খাওয়া মানুষ এবং মধ্যবিত্তশ্রেণির মানুষের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে দিতে এতে বিত্তশালীদের ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে এবং এটি কংগ্রেসের অনুমোদন পেলে ৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলার ট্যাক্স খাতে আয় করা সম্ভব হবে। বাইডেনের প্রস্তাব অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আর্থিক অসমতা দূর করতে চলতি সালের শেষার্ধেই অধিক বেতনের এবং অধিক আয়ের ব্যবসায়ীদের ট্যাক্সের পরিমাণ ৩৭% থেকে ৩৯.৬% হবে। উল্লেখ্য, উচ্চ আয়ের কর্মকর্তা এবং বিত্তশালীদের ট্যাক্সের পরিমাণ ডোনাল্ড ট্রাম্প কমিয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে জো বাইডেনের প্রতি ধনীরা এরই মধ্যে অসন্তোষের তীর ছুড়ে দিয়েছেন। ভিতরে ভিতরে তারা জোট বাঁধছেন পুনরায় ট্রাম্পকে ক্ষমতায় বসাতে। বাইডেনের প্রস্তাব কংগ্রেসের অনুমোদন পেলে স্বামী-স্ত্রী মিলে বার্ষিক আয় ৫০৯৩০০ ডলারের অধিক হলেই ৩৯.৬% হারে ট্যাক্স দিতে হবে বছর শেষে। আর একক (অবিবাহিত) আয় যদি ৪৫২৭০০ ডলারের অধিক হয়, তাহলেও ওই হারে ট্যাক্স গুনতে হবে বছর শেষে। একইভাবে কল-কারখানার ট্যাক্সও ২১% থেকে বেড়ে ২৮% হবে। ট্যাক্স বৃদ্ধির এই প্রস্তাবকে আধুনিক যুগে সর্ববৃহৎ ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে বিপুল অর্থ সংগ্রহে এই পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই বলেও অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিকরা মন্তব্য করেছেন।