আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেনা প্রত্যাহারের আগে প্রায় ১ হাজার নাগরিক বিমানবন্দর ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তা স্থানীয় সময় গতকাল এ কথা জানান। অন্যদিকে তালেবানের এক কর্মকর্তা জানান, তাঁরা বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে ব্রিটেনভিত্তিক মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, তালেবান কাবুল বিমানবন্দরের কর্তৃত্ব গ্রহণ করার পর তুরস্ক ও কাতার যৌথভাবে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনা করবে। একটি প্রাইভেট ফার্মের মাধ্যমে নিরাপত্তা সরবরাহ করবে আংকারা। তালেবানের সঙ্গে এ রকম একটি খসড়া চুক্তি হয়েছে। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এখন পর্যন্ত চুক্তিতে অনুমোদন দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোমিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। খসড়া চুক্তিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের বৈধ সরকার হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে তুরস্ক। তুরস্ক ও কাতার একটি কনসোর্টিয়াম হিসেবে বিমানবন্দর চালাবে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিমা এক নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন সেনা অভিযান শেষ হওয়ার সময়সীমা জানানো হবে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৩১ আগস্টের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়সীমা ঘোষণা করেন।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, ‘ঝুঁকিতে থাকা সব বিদেশি নাগরিককে আমরা আজকের মধ্যেই সরিয়ে নিতে চাই। সব নাগরিক সরিয়ে নেওয়ার পর সেনাবাহিনীও সরিয়ে নেওয়া হবে।’এক অথবা দুই সপ্তাহের মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা : আগামী এক অথবা দুই সপ্তাহে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হতে পারে বলে জানিয়েছে তালেবান। তবে এই মন্ত্রিসভায় নারীরা দায়িত্ব পালন করবেন কি না, সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে তালেবান জানিয়েছে। তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ কথা জানিয়েছেন। আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ড্রোন হামলার নিন্দাও জানিয়েছেন তিনি। জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, এটি আফগান অঞ্চলের ওপর হামলা।