বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের প্রাদুর্ভাব চলার মধ্যেই ‘নিওকোভ’ নামে আরও একটি নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি চীনা গবেষকরা নতুন এ ধরন শনাক্তের দাবি করেছেন।
চীনের গবেষকরা জানিয়েছেন, ভাইরাসটি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাদুড়ের শরীরে ছড়ালেও ভবিষ্যতে তা মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, নিওকোভ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, নিওকোভ ধরনটি এখনো কোনো মানুষকে আক্রান্ত করেনি। কভিড-১৯ এর অন্যান্য ধরনের মতোই এ ভাইরাসটি মানবকোষে ঢুকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। করোনা প্রতিরোধের জন্য বিদ্যমান অ্যান্টিবডি দিয়ে নিওকোভকে ঠেকানো যাবে না বলে আশঙ্কা করেছেন তারা। গবেষকরা বলছেন, ২০১২ সালে সৌদি আরবে শনাক্ত হওয়া ভাইরাস মার্সের (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) সঙ্গে নতুন ধরনটি খুব সংশ্লিষ্ট। এটি মার্স কভের মতোই প্রাণঘাতী (প্রতি তিনজনে একজনের মৃত্যু) এবং বর্তমান নভেল করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের মতো উচ্চ সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন হতে পারে। গবেষণা প্রতিবেদনটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়নি। বায়োআরজিভ ওয়েবসাইটে এর পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও বলেছে, গবেষণায় ভাইরাসের যে ধরন শনাক্ত হয়েছে, এটি মানব শরীরের জন্য হুমকি তৈরি করবে কি না, তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। ডব্লিউএইচও বলছে, যেসব ভাইরাস মানবদেহকে আক্রান্ত করে, তার ৭৫ শতাংশেরই উৎস বন্য প্রাণী। এসব ভাইরাসের বেশির ভাগেরই প্রাকৃতিক ভাণ্ডার হিসেবে বাদুড়কে অভিহিত করা হয়।
