রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সিরিয়ার আফরিনে সংঘর্ষে নিহত ২৭

তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী বাহিনীর কাছ থেকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আফরিনের দখল ছিনিয়ে নিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও এর মিত্র গোষ্ঠীগুলো। এ দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে বলে পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস শুক্রবার জানিয়েছে। এইচটিএস জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার সাবেক সিরীয় শাখা।

সংঘর্ষে জড়িত গোষ্ঠীগুলোর বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি মাস এইচটিএসসহ অন্যান্য কট্টরপন্থিদের সঙ্গে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীদের উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে এইচটিএস ও এর মিত্ররা আফরিন শহর দখল করে নেয়।

সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে ২০১৮ সালে আফরিনের দখল নিয়েছিল তুরস্কপন্থি বিদ্রোহীরা।

 সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, এইচটিএস চলতি সপ্তাহে আলপ্পো প্রদেশের আফরিন শহরের পাশাপাশি তুরস্ক সমর্থিত   থার্ড কোরের নিয়ন্ত্রণ থেকে আশপাশের গ্রাম ও ছোট শহরগুলোর দখলও ছিনিয়ে নিয়েছে।

এসব লড়াইয়ে ১৯ বিদ্রোহী ও শিশুসহ আট বেসামরিক নিহত হয়েছে। থার্ড কোরের মুখপাত্র হিশাম ইসকেফ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, লড়াই থামানোর জন্য শুরু হওয়া আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

আজাজ শহরের স্থানীয় কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের এইচটিএসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

আল বাব শহরের কর্তৃপক্ষও একই ধরনের একটি বিবৃতি দিয়ে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিদ্রোহী দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া প্রতিবাদ দমনে শক্তি প্রয়োগ করা হলে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এতে কয়েক লাখ লোক নিহত ও লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয় এবং আঞ্চলিক ও বিশ্ব শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে বিভিন্ন সংঘাতে অস্থির হয়ে আছে সিরিয়া। রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় আসাদ অনুগত সরকারি বাহিনী দেশটির অধিকাংশ অংশের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করলেও কিছু অংশ এখনো কুর্দি, তুরস্কপন্থি ও কট্টরপন্থি বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর দখলে রয়ে গেছে। কট্টরপন্থিসহ বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর কিছু অংশ উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিব ও আলেপ্পো প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর