এত দিন খবর চাউর হয় ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় বসতে চান রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এরপর অনেকই মন্তব্য করেন যুদ্ধ থেকে বের হয়ে আসতে চান পুতিন। কিন্তু গতকাল সেই চিন্তায় পানি ঠেলে দিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বছর শেষে অনেকটা হুমকি ও আলটিমেটাম দিলেন। বলেছেন, কিয়েভকে মস্কোর প্রস্তাবগুলো মেনে নিতে হবে, যার মধ্যে রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর পরাজয় স্বীকারের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অন্যথায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘বিষয়টি সহজ। আপনার নিজের ভালোর জন্য প্রস্তাবগুলো মেনে নিন। অন্যথায় রুশ বাহিনী তার সিদ্ধান্ত নেবে।’ রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে জানা যায়, ল্যাভরভ বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বেসামরিকীকরণ ও নাৎসিবাদমুক্ত করতে প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।’ এসব এলাকায় রাশিয়ার জন্য যা হুমকিস্বরূপ, তা দূর করতেই এ পদক্ষেপ দরকার বলে মনে করেন তিনি। ল্যাভরভ বলেন, কথা খুব সহজ। নিজেদের ভালোর জন্য ইউক্রেনকে প্রস্তাব মেনে নিতে হবে, তা না হলে এ ইস্যুতে রাশিয়ার সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে রবিবার পুতিন বলেছিলেন, ‘আমরা গ্রহণযোগ্য সমাধানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। কিন্তু এটি তাদের ওপর নির্ভর করছে। আমাদের দিক থেকে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে না, এটা তাদের দিক থেকেই করা হচ্ছে।’ সেই দিনেই অর্থাৎ বড়দিনে ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে বোমা ও রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এদিকে ইউক্রেনের মাটি থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে কিয়েভ। একইসঙ্গে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ থেকে রাশিয়ার অপসারণও দাবি করেছে তারা। বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকা ও পশ্চিমের মদতে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইউক্রেন। ফলে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে পুতিন বাহিনী। দোনেৎস্ক, খেরসন, খারকভ, বাখমুট ও স্নেক আইল্যান্ডের মতো এলাকাগুলোতে জোর ধাক্কা খেয়েছে রুশ ফৌজ। তাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। ফলে শীতকালে আরও বড়সড় হামলা হতে পারে ইউক্রেনে।