মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কাশ্মীরে নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছে মোদি সরকার

সুপ্রিম কোর্টের রায়

জম্মু-কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা এলাকার পুনর্বিন্যাসের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গতকাল সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং বিচারক এ এস    ওকারের বেঞ্চ জানান, ২০১৯-এর জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের সঙ্গে আবেদনকারীদের আর্জির কোনো যৌক্তিকতা নেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, দেশের শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের জেরে বড়সড় স্বস্তি পেল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। শুধু তাই নয়, উপত্যকায় ভোট করার ক্ষেত্রে সরকারের আর কোনো বাধা রইল না।

উল্লেখ্য, এলাকা পুনর্বিন্যাসের পর জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০। এর মধ্যে জম্মুর আসন সংখ্যা ৪৩। অন্যদিকে ৪৭টি আসন রয়েছে কাশ্মীরে। পাশাপাশি ভূস্বর্গের লোকসভা আসনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ। জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি গতকাল বলেন, সব বিরোধী দল আগেই ডিলিমিটেশন কমিশনকে অগ্রাহ্য করেছে। তাদের খারিজ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট কী বললেন না বললেন, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। সুপ্রিম কোর্টের কাছে রাজ্য পুনর্গঠন আইনের সাংবিধানিক বৈধতা মামলা ঝুলে রয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বৈধতার মামলাও ঝুলে আছে। এসবের মীমাংসা না করে কী করে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন? তার অভিযোগ, সীমানা পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্য ভোটে কারচুপি করা। গুপকর জোটের মুখপাত্র ও সিপিএম নেতা তারিগামি বলেন, এই রায় জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের কাছে হতাশাজনক।

জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন পাস করে নরেন্দ্র মোদি সরকার। উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা লোপ করা হয়। বাতিল করা হয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা। এ আইনের জেরে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় জম্মু-কাশ্মীর। একটির নাম জম্মু-কাশ্মীর ও অপরটির নাম লাদাখ। এরপরই জম্মু-কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করে কেন্দ্র। এ কাজের জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি প্যানেলও তৈরি করা হয়। জম্মু-কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভার এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করে কেন্দ্র। যদিও এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তোলে বিজেপিবিরোধী দলগুলো। তাদের দাবি, বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দার কথা মাথায় রেখে এই এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ করেছে সরকার। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় বিজেপি। এর পরই এলাকা পুনর্বিন্যাসের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আবদুল গনি ও মুহম্মদ আয়ুব। শ্রীনগরের দুই মামলাকারীর যুক্তি ছিল ২০১৯-এর আইন অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ করতে পারে এক মাত্র জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সে আবেদনই সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন শীর্ষ আদালত।

সর্বশেষ খবর