রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুরু করা পাল্টা হামলায় প্রথম সাফল্যের দাবি করে কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাদের সেনারা তিনটি গ্রামে অগ্রগতি অর্জন করে সেগুলো মুক্ত করেছে বলে রবিবার জানিয়েছে তারা।
রবিবারের প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, ডনেস্কের ব্লাহোদাতেœ ও নেসকুচনে জয় উদযাপন করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করেছে মস্কো।
যুদ্ধের আগে ব্লাহোদাতেœ-তে ১ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া বন্দরনগরী মারিউপোলে প্রবেশের পথ এটি। বিশ্লেষকদের মতে, যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক মাসে শহরটি পুনরুদ্ধার করতে পারে ইউক্রেন। দেশটির টেলিভিশনে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ‘তাভরিয়া’ সেক্টরের মুখপাত্র ভ্যালেরি শারশেন বলেছেন, ‘পাল্টা আক্রমণের পদক্ষেপের প্রথম ফল দেখতে পাচ্ছি আমরা, স্থানীয় ফলাফল।’ যুদ্ধক্ষেত্রের এসব প্রতিবেদনের সত্যাসত্য রয়টার্স যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।সাতটি লেপার্ড ট্যাঙ্ক ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার : ইউক্রেনে জার্মানির তৈরি অন্তত সাতটি লেপার্ড ট্যাঙ্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পাঁচটি ব্র্যাডলি সামরিক যান ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করার সময় দুই দিনে পশ্চিমাদের দেওয়া এসব অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে বলে রবিবার জানিয়েছে তারা। তবে রুশ ব্লগাররা জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে ইউক্রেন অল্প সময়ের জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা লাইনে অনুপ্রবেশ করেছিল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার তারা তিনটি প্রধান দিকে ইউক্রেনের ১২টিরও বেশি হামলা প্রতিহত করেছে আর জাপোরিজিয়া অঞ্চলে দেশটির সামরিক বাহিনীর ১২৮তম মাউন্টেন অ্যাসাল্ট ব্রিগেডের সাঁজোয়া যানের একটি কলাম ধ্বংস করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, একটি ভিডিওতে দেখা গেছে রাশিয়ার ড্রোনগুলো ইউক্রেইনের ট্যাঙ্কগুলোর ওপর আঘাত হানছে। এই ভিডিওর তারিখ শনাক্ত করতে না পারলেও অবস্থান শনাক্ত করা গেছে আর তা জাপোরিজিয়া অঞ্চল।
এবার জাপোরিজ্জিয়ার বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ : খেরসনের পর এবার জাপোরিজ্জিয়া অঞ্চলের একটি বাঁধ উড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। এমন দাবি করেছেন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ভ্যালেরি শেরশেন। রবিবার তিনি বলেছেন, নোভোদারিভকা গ্রামের কাছের একটি বাঁধের অবকাঠামো উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এতে মোকরি ইয়ালি নদীর দুই পাশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর এই কর্মকর্তার দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শেরশন আরও দাবি করেছেন, দখলকৃত এলাকা ইউক্রেনের অগ্রগতি ঠেকাতে রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই অঞ্চলের বাঁধ উড়িয়ে দিচ্ছে। এ বিষয়ে মস্কোর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গত সপ্তাহে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ‘নোভা কাখোভকা’ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধটি ভোরের দিকে বিস্ফোরণ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া নিয়ে পরস্পরকে দুষছে ইউক্রেন ও রুশ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় মস্কোকে দায়ী করেছে পশ্চিমারা।