মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

কর্ণাটক জয়ের পর এবার মধ্যপ্রদেশ মিশনে কংগ্রেস

কর্ণাটক জয়ের পর এবার মধ্যপ্রদেশ মিশনে কংগ্রেস

জবলপুরে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

এখনো মাস চারেক বাকি ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী প্রদেশ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের। এই রাজ্য জয়ে নজর রেখেই গতকাল থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। নর্মদা তীরে প্রার্থনা শেষ করে জবলপুর থেকে শুরু করেছেন দলীয় প্রচার। জবলপুর মূলত উপজাতি ভোটারদের বাস। শুরুতেই তাঁদের দিকেই নজর দিচ্ছে কংগ্রেস।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশের ৮টি জেলা বিভাগে ১৩টি তফশিলি উপজাতি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ১১টি আসন জিতেছিল। কংগ্রেসের দাবি, এই এলাকার মানুষজন গেরুয়া শিবিরের কাছে বারবার অবিহেলিত বোধ করে। জবলপুরে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘এই সরকার কীভাবে চলছে, তার স্বরূপ উদ্?ঘাটন করে আপনাদের চোখ খুলে দিতে এখানে এসেছি। এটুকু বোঝাতে এসেছি, এতগুলো বছর যাদের বিশ্বাস করে দায়িত্ব সপেছেন, তারা অবহেলা ও দুর্দশা ছাড়া আর কিছু উপহার দেয়নি।’ আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সঙ্গে ভোট হবে রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানায়। রাজ্যের ভোটারদেন মনোযোগ আকৃষ্ট করতে প্রিয়াঙ্কা বলেন, কর্ণাটকে কংগ্রেস পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ক্ষমতায় এসে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সেগুলো বাস্তবায়ন করেছে। মধ্যপ্রদেশের জন্যও তিনি জনমুখী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। যেমন গৃহকর্ত্রীদের মাসে দেড় হাজার রুপি অনুদান, ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ফ্রি, কৃষিঋণ মওকুফ, ফসলের ন্যায্যমূল্য এবং সরকারি কর্মীদের পুরনো হারে পেনশন।

টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৮ সালের ভোটে বিজেপির কাছ থেকে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস ছিনিয়ে নিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কমলনাথ। কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস সরকারের পতন হয়। আবার মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান। গত সাড়ে তিন বছরে এই সরকারের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর