মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

আমাজনে যেভাবে ৪০ দিন বেঁচে ছিল চার শিশু

আমাজনে যেভাবে ৪০ দিন বেঁচে ছিল চার শিশু

ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ গত ১ মে কলম্বিয়ার আমাজন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়। এতে পাইলটসহ প্রাপ্তবয়স্ক তিন ব্যক্তি নিহত হন। উড়োজাহাজে থাকা চার শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দুর্ঘটনার ৪০ দিন পর শুক্রবার কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো এক টুইটে জানান, নিখোঁজ চার শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘পুরো দেশের জন্য আনন্দজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাগুয়ার, বিভিন্ন প্রজাতির সাপসহ নানা বন্য পশুপাখির আবাস আমাজন জঙ্গলে চার শিশুর এত দিন বেঁচে থাকাকে ‘অলৌকিক’ বলছেন কেউ কেউ। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, এতদিন কীভাবে বেঁচে ছিল এসব শিশু? শিশুদের উদ্ধারের পর কর্তৃপক্ষ জানায়, টানা ৪০ দিন গভীর জঙ্গলে থাকার পরও এই চার শিশু বেঁচে ছিল তাদের নানির কল্যাণে। এই চার শিশুর সবচেয়ে বড় ১৩ বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে তার নানি খুব ছোটবেলা থেকে গভীর জঙ্গলে মাছ ধরা ও শিকারের কলাকৌশল শিখিয়েছিলেন। এমনকি প্রকৃতি থেকে খাবার সংগ্রহের উপায়ও শেখানো হয়েছিল তাকে। উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর এসব কৌশল প্রয়োগ করে সে। ফলে আমাজনের গভীরে বেঁচে থাকার জন্য খাবার সংগ্রহে সহায়তা করে তার নানির শেখানো কৌশল।উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে দুই শিশুর প্রথম কথা ছিল, ‘আমি ক্ষুধার্ত’ এবং ‘আমার মা মারা গেছেন’। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের পর চার দিন তাদের মা বেঁচে ছিলেন বলেও জানায় তারা। এর ৪০ দিন দক্ষতা আর বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজের কচি তিনটি ভাইবোনকে রক্ষা করেছে মাত্র ১৩ বছর বয়সী মেয়ে লেসলি। তাদেরকে খাবারের ব্যবস্থা করেছে। সময় দিয়েছে। খেলাধুলা করে সময় পাড় করেছে। অবশ্য এসব কৌশল সে তার অভিভাবকদের কাছ থেকে পেয়েছিল। তাই নিজের মাথার ফিতা দিয়ে মাথার ওপর কোনোমতে একটি তাঁবুর মতো টানিয়েছিল।

 

সর্বশেষ খবর