শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন বরিস জনসন

‘কভিড পার্টি’ নিয়ে প্রতিবেদন

পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন বরিস জনসন

‘পার্টিগেট মামলা’য় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কড়া সমালোচনা করে প্রতিবেদন পেশ করেছে দেশটির সংসদীয় কমিটি। প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, কভিডের সময় লকডাউন চলাকালীন পার্টি করা প্রসঙ্গে দলীয় সাংসদদের বিভ্রান্ত করেছেন ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। এ আচরণের শাস্তি হিসেবে এমপি পদ থেকে সাসপেন্ড করা উচিত জনসনকে। তবে এ সুপারিশ কার্যকর হবে না, কারণ কয়েকদিন আগেই এমপি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

মহামারির সময়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে হওয়া পার্টিগুলো লকডাউনের নির্দেশনা ভেঙেছিল; এ ব্যাপারে জনসন ইচ্ছাকৃতভাবে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল এ প্রিভিলেজেস কমিটির। আইনপ্রণেতাদের কর্মকা  খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকা মূল পর্ষদ প্রিভিলেজেস কমিটি গতকাল এ বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিতর্কিত রাজনীতিক, বহির্বিশ্বে সুপরিচিত জনসন আগেই এ প্রতিবেদনকে ‘প্রহসন’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছেন, এ ভাষ্য সত্য নয়।

করোনা রুখতে দীর্ঘ দুই বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে। কিন্তু সেই লকডাউন চলাকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যার মধ্যে অন্তত তিনটিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্টি করার ঘটনায় দলীয় এমপিদের অন্ধকারে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। ভুল তথ্য দিয়ে এমপিদের বিভ্রান্তও করা হয়েছিল। সংসদের অবমাননা হয়েছে এ আচরণের জেরে। শাস্তি হিসেবে অন্তত তিন মাস সাংসদ পদ থেকে সাসপেন্ড করা দরকার জনসনকে। তবে প্রতিবেদনটি আগাম দেখে জনসন গত সপ্তাহেই পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন। তার আসনে এখন উপনির্বাচন হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আস্থা নষ্ট করে, কমিটিকে নিয়ে অপমানজনক কথাবার্তা বলে, অবমাননাকর প্রচারণা ও হস্তক্ষেপের চেষ্টায় জড়িত থাকার মাধ্যমে জনসন হাউস অব কমন্স ও এ কমিটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করে সংসদীয় প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চেয়েছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই ব্রিটিশ রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছেন জনসন। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর খোয়াতে হয়েছে সাংসদ পদও। দিন কয়েক আগেই সংসদের মধ্যে তাঁকে কার্যত অপমান করেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সবমিলিয়ে রাজনীতিতে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বরিস জনসন।

সর্বশেষ খবর