শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউক্রেনে পাঠানো মার্কিন অস্ত্র চলে যাচ্ছে ইরানের হাতে!

রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ও অপর পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে ইরানসহ ইসরায়েলের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর হাতে চলে যাচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)-এর এক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন অস্ত্রের চালান অন্যত্র চলে যাওয়ার দীর্ঘ ইতিহাসের আরেকটি নতুন অধ্যায় রচনা করতে পারে এই পরিস্থিতি। এসব অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ পশ্চিমা সরকারগুলোর সব মনোযোগ এখন পূর্ব ইউরোপে চলমান সংঘাতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত ট্যাংক বিধ্বংসী জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উভয়পক্ষের আধা সামরিক বাহিনী ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। তিনি বলছেন, রুশপন্থি যোদ্ধারা মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র জব্দের পর অন্যত্র পাঠানোতে আগ্রহী। এর ফলে মস্কো ও তেহরানের ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্কের কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আর ইউক্রেনপন্থি আধা-সামরিক বাহিনী মূলত অস্ত্র পাচার করে অর্থ উপার্জনে আগ্রহী। কৃষ্ণসাগর হয়ে ভূমধ্যসাগর দিয়ে এসব অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। তার দাবি, এই পরিস্থিতি ইসরায়েলের জন্য খুব বিপজ্জনক।

কারণ ইরান এসব অস্ত্র গবেষণা করে শিখে নিতে পারবে কীভাবে এগুলো তৈরি করা হয়। আরেকটি সমস্যা হলো, এসব অত্যাধুনিক অস্ত্র হিজবুল্লাহ ও হামাসের হাতে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, স্থানান্তরিত অস্ত্রের সংখ্যা নির্দিষ্টভাবে নিরূপণ করা কঠিন। কারণ আইডিএফ একাই মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রের পরিবহনে নজর রাখে। কিন্তু এই অস্ত্রের পাচারের ব্যাপ্তি ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে পুরো চিত্র পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু আমরা ইঙ্গিত পাচ্ছি। এই ইঙ্গিত খুব উদ্বেগজনক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বলেছেন, ২০ আগস্ট রাশিয়ার একটি পরিবহন উড়োজাহাজ তেহরানে একটি কার্গো নামিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে ১০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পশ্চিমা অস্ত্র ছিল। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন নির্মিত জ্যাভেলিন এবং যুক্তরাজ্যের অত্যাধুনিক লাইট অ্যান্টি-আর্মর উইপন্স।

সর্বশেষ খবর