শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
চিন্তা থেকেই যাচ্ছে পুতিনের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী?

পুতিন যাকে নিজ হাতে তৈরি করেছেন সেই ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন গত শনিবার পুতিনের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করে বসে। ২৪ ঘণ্টা পর অবশ্য সেই বিদ্রোহী প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে প্রিগোজিনের ‘বিদ্রোহে’ তাই উদ্বিগ্ন রুশ প্রশাসন। রাশিয়ার এই ঘটনাচক্রের দিকে নজর ছিল সবার। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদলে মস্কোর দোরগোড়া থেকে ফিরে আসে ওয়াগনার বাহিনী। কিন্তু তাতেও কি চিন্তা কমেছে ভ্লাদিমির পুতিনের।

ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক সদস্য রব লি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেন যুদ্ধে বড় কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না ওয়াগনার। তাই এই যুদ্ধের আবহে প্রিগোজিনের এই সিদ্ধান্ত খুব একটা বিপদে ফেলবে না রাশিয়াকে। লি টুইটারে জানিয়েছেন, ‘মে মাসের শেষ ও জুনের শুরুতে ইউক্রেনের বাখমুত থেকে ওয়াগনার বাহিনীকে সরিয়ে নিয়েছিল রুশ প্রশাসন।’

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এই বাখমুত অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি সংঘাত হয়েছিল। তিনি মনে করেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেন যুদ্ধে সামনের সারিতে নেই ওয়াগনার বাহিনী। লি আরও বলেন, ওয়াগনার বাহিনী মূলত আক্রমণে সিদ্ধহস্ত। ডিফেন্স বা ফ্রন্টলাইনে প্রতিরক্ষার জন্য তাদের তৈরি করা হয়নি। ইউক্রেন পালটা আক্রমণ শুরু করেছে। ফলে ময়দানে ওয়াগনারের গুরুত্ব আপাতত কম।

রবিবার ফ্রন্টলাইন থেকে আসা ইউক্রেনের সেনারা জানিয়েছে, বাখমুতে ওয়াগনার বাহিনীর দাপট দেখা যায়নি সেভাবে। অবস্থান খুব একটা চোখে পড়ার মতো ছিল না। অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রবিবার জানিয়েছেন, ‘ওয়াগনার বাহিনীর এই অভ্যুত্থান পুতিন শাসনে আসল ফাটল।’ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও একই সুরে বলেছেন, ‘এই ঘটনা রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে বিভাজনকেই স্পষ্ট করে।’

মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন প্রিগোজিন। ওয়াগনার বাহিনীর প্রধানকে পালটা আক্রমণ করে পুতিন বলেছিলেন, ওরা পিঠে ছুরি মেরেছে, এর বদলা নেওয়া হবে। এরপর হঠাৎই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন প্রিগোজিন। সুতরাং, পুতিন ও প্রিগোজিনের এই বিরোধ কোনদিকে এগোবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এই বিরোধ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেই বা কী প্রভাব ফেলবে, তাও স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনে আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে এই ঘটনা পুতিনের জন্য কতটা বাধা সৃষ্টি করবে সেটাও এই মুহূর্তে পরিষ্কার নয়।

জেলেনস্কি-বাইডেন ফোনালাপ : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছে তিনি রবিবার ভাগনার বিদ্রোহ নিয়ে একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

তবে বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর