মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না প্রিগোজিনকে!

কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না প্রিগোজিনকে!

গোটা বিশ্বে এখন আলোচনার বিষয় ‘ওয়াগনার গ্রুপের’ বিদ্রোহ ও এর প্রধান অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। তার নির্দেশেই রাজধানী মস্কোর দিকে রওনা হয় কুখ্যাত ভাড়াটে সেনার দল। যদিও শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতায় সেই বিদ্রোহ প্রত্যাহার করেন প্রিগোজিন। তার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হবে বলে জানিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের দফতর। কিন্তু আদৌ কী বেলারুশ পৌঁছতে পেরেছেন প্রিগোজিন! গতকাল পর্যন্ত তার কেউ খোঁজ দিতে পারেনি।

গত শনিবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পর রোস্তভ শহরের দখল নেয় প্রিগোজিনের ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার যোদ্ধারা। ওই সময় দক্ষিণ রাশিয়ার ওই এলাকায়ই বিদ্রোহীদের সঙ্গে ছিলেন তিনি। রাতের দিকে সমঝোতায় রাজি হওয়ার পর এলাকা ছাড়েন প্রিগোজিন। একটি গাড়িতে করে রোস্তভ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তারপর থেকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্রিগোজিনের আর কোনো হদিস মেলেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। উল্লেখ্য, রোস্তভের ভোলগোগ্রাদ এবং সোচি-সহ গোটা দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ায় নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করেছে পুতিন প্রশাসন। ফলে সেখান থেকে বিমানে প্রিগোজিনের বেলারুশ যাওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেক্ষেত্রে গাড়ি বা ট্রেনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দিকে রওনা হতে পারেন ওয়াগনার প্রধান। কিন্তু সেটা তার পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ এতে করে সহজেই ড্রোন হামলার স্বীকার হতে পারেন প্রিগোজিন। শনিবারের ওয়াগনার বিদ্রোহর পর অবশ্য প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মস্কো। কিন্তু এর মধ্যেই প্রিগোজিনের হদিস না মেলায় ঘনাচ্ছে রহস্য। বিদ্রোহ প্রত্যাখ্যানের পর যে বেলারুশে যাওয়ার কথা ছিল প্রিগোজিনের সেই বেলারুশের কর্মকর্তারা সিএনএনকে বলেছেন, প্রিগোজিন এখন কোথায়- সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাদের কাছে কিছু নেই। এ ছাড়া ইতোমধ্যেই প্রিগোজিন বেলারুশে পৌঁছেছেন নাকি তাদের কাছে এ নিয়েও কোনো তথ্য নেই।

সর্বশেষ খবর