রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
শিক্ষাঋণ মওকুফ

বাইডেনের প্রস্তাবে সুপ্রিম কোর্টের ‘না’

বাইডেনের প্রস্তাবে সুপ্রিম কোর্টের ‘না’

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের শত শত কোটি ডলারের শিক্ষাঋণ মওকুফ করে দিতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তার এ প্রস্তাব আটকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষার্থীপ্রতি ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার ডলারের ?ঋণ মওকুফ করতে চেয়েছিলেন বাইডেন। তার এ প্রস্তাবের সঙ্গে ৪ কোটিরও বেশি মার্কিন নাগরিকের জীবন জড়িত। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার বাইডেন প্রশাসনের নেই।

প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে মার্কিন নাগরিকরা ‘রাগান্বিত’ হবে। তবে তিনি বিদ্যমান আইনকানুন ব্যবহার করেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ঋণের বোঝা কমানোর উদ্যোগ নেবেন। বাইডেনের নির্বাচনি অঙ্গীকারের অংশ ছিল শিক্ষাঋণের বোঝা কমানো। ১৫ বছরে দেশটিতে শিক্ষাঋণের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। ২০০৭ সালে মার্কিন শিক্ষার্থীদের ওপর ঋণের বোঝা ছিল প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার, যা এখন (২০২৩ সালে) বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৬০ হাজার কোটি) ডলারে। গত বছর (২০২২ সাল) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ ৪৩০ বিলিয়ন ঋণ মওকুফের এক কর্মসূচি হাতে নেয়। ঋণগ্রহণকারী ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর দ্বারা উপকৃত হবে বলে মনে করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তবে রিপাবলিকান পার্টির নেতৃত্ব রয়েছে এমন কয়েকটি রাজ্য (নেব্রাস্কা, মিসৌরি, আর্কানসা, আইওয়া, ক্যানসাস ও সাউথ ক্যারোলিনা) শিক্ষাঋণ মওকুফের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মামলা করে। বাইডেন অতি মাত্রায় ক্ষমতা ব্যবহার করছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এ ধরনের সিন্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে অভিযোগ ছিল এ রাজ্য সরকারগুলোর। সুপ্রিমকোর্ট এসব রাজ্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে এসব মামলার ওপর শুনানিতে অংশ নিয়ে বাইডেন প্রশাসন দাবি করে, ২০০৩ সালে প্রণীত হায়ার এডুকেশন রিলিফ অপরচুনিটি ফর স্ট্রডেন্টস অ্যাক্ট অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষাঋণ কর্তন বা মওকুফের ক্ষমতা রাখে। কভিডের মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে তারা এ পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও জানায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষ শিক্ষাঋণের জালে জর্জরিত। যেসব শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা দুর্বল তারা শিক্ষাঋণ নেওয়ার সুযোগ পায়। মূলত উচ্চমাধ্যমিকের পরের ধাপের লেখাপড়ার জন্য এ ঋণ নেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর