বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের ভয়াবহ সেনা অভিযান

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের ভয়াবহ সেনা অভিযান

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় বিধ্বস্ত রাস্তার ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন প্রবীণ দম্পতি -এএফপি

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তারা দখলকৃত জেনিন শহরের শরণার্থী শিবিরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে চালিয়েছে বড় ধরনের সামরিক অভিযান। এ সময় কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ অভিযানে বিপুলসংখ্যক ইসরায়েলি বাহিনী শরণার্থী শিবিরে অনুপ্রবেশ করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বারবার ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস হামলা চালানোর পেছনে ইসরায়েলের ডানপন্থি সরকারকে সক্ষম করে তুলছে এবং উৎসাহ জোগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অটুট সমর্থন ও সহায়তা। ইসরায়েলের সেনারা যখন জেনিনের জনবহুল শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায়, তখন একইসঙ্গে চলে আকাশপথে একের পর এক হামলা, তখন হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ নিয়ে সাফাই গাওয়া হয়েছে। জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।

এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল বলেছে, ‘হামাস, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ ও অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতার বিপরীতে আমরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও নিজেদের জনগণকে রক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।’ এ পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম মূলকথা বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষা করা। মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক রাজনীতিতেও মার্কিন প্রশাসনের অগ্রাধিকার এটা। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সবচেয়ে বড় মিত্র ইসরায়েলের নৃশংস সামরিক অভিযানের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া বলে দিচ্ছে, ইসরায়েলের লাগাম টানতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইচ্ছা নেই। ইসরায়েল সরকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কেননা, বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কোনো পরিণতির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা নেই নেতানিয়াহু সরকারের।

এদিকে আরব রাষ্ট্র, বিশেষত সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ও সংস্থাগুলো এর বিরোধিতা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) পশ্চিম তীরের জেনিনে ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান যুদ্ধাপরাধ বন্ধে দ্রুত ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নিতে বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ইসরায়েলের এসব কৌশল ভীষণ বর্ণবাদী। এসব কৌশল ব্যবহার করে গাজাকে ধ্বংস করা হয়েছে, এখন ঠিক সেসব কৌশল পশ্চিম তীরের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে শুরু করেছে ইসরায়েল, এমনটাই মনে করছেন তারিক কেনিশাওয়ার। তিনি বলেন, বিমান হামলা ও সড়ক খুঁড়ে ফেলার বুলডোজার জেনিন ও আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনিদের স্বপ্নভঙ্গে সম্মিলিত শাস্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে।

সর্বশেষ খবর