বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার অনুমতি দিল আইএইএ

ভূমিকম্প ও সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি শোধন করে সমুদ্রে নিষ্কাশনের জন্য জাতিসংঘ আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) অনুমতি পেল জাপান। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং স্থানীয় কিছু অধিবাসীর তীব্র বিরোধিতার পরও এই অনুমতি এলো। বিষয়টি নিয়ে দুই বছর পর্যালোচনার পর আইএইএ বলেছে, জাপান ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লিটির তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার যে পরিকল্পনা করেছে, তা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার মানদন্ড অনুযায়ীই করা হয়েছে। এতে মানুষ ও পরিবেশের ওপর তেমন ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়বে না। ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানি জমা রাখার জায়গা শেষ হয়ে আসছে। এই পানি পারমাণবিক চুল্লি শীতলীকরণে ব্যবহার হতো। আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি গতকাল জাপানকে পানি সাগরে ফেলার ছাড়পত্র দিয়েছেন।

জাপানের প্রেস ক্লাবে ছোটখাট একটি গোষ্ঠীর বিক্ষোভের মুখে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়া নিয়ে চলে আসা উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা করবেন তিনি। পানি ছাড়া প্রক্রিয়া দেখাশোনার জন্য আইএইএর একজন কর্মীকে ফুকুশিমা কেন্দ্রে রাখা হবে। আগে এ ধরনের ঘটনা যে ঘটেনি সেটি আমাদের স্বীকার করতে হবে উল্লেখ করে গ্রোসি বলেন, পানি সাগরে ছাড়ার ব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্তটি জাপানই নেবে। এ কাজ শুরু হতে প্রায় তিন-চার দশক লাগবে। ২০১১ সালের ১১ মার্চ ভয়াবহ এক ভূমিকম্প এবং এ থেকে সৃষ্ট সুনামির বিশাল জলোচ্ছ্বাসে জাপানের ফুকুশিমায় অবস্থিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির চারটি পারমাণবিক চুল্লি প্লাবিত হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফুকুশিমার ওই বিপর্যয়কে তুলনা করা হয় ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনার সঙ্গে। দুটি বিপর্যয়েই প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর