বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বার্ধক্য রোধ করতে চান চীনা বিজ্ঞানী

মানব ভ্রƒণ পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের বার্ধক্য রোধ করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে মানুষকে দীর্ঘায়ু করাও সম্ভব হবে বলে দাবি করেছেন চীনের বিতর্কিত বিজ্ঞানী হে জিয়ানকুই। ২০১৮ সালে এই বিতর্কিত গবেষণার ধারণা প্রকাশ করার পর জিয়ানকুই প্রথম সম্পাদিত ভ্রুণের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। অবৈধ চিকিৎসা অনুশীলনের অভিযোগে জিয়ানকুই তিন বছর কারাভোগ করেছেন। গত বছর কারাগার থেকে বের হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবী ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবাক করে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, বেইজিংয়ে একটি গবেষণাগার চালু করছেন তিনি। এর পর থেকে তিনি জিন থেরাপির মাধ্যমে বিরল রোগের চিকিৎসার গবেষণা শুরু করেন।

জিয়ানকুইয়ের নতুন এই গবেষণা প্রস্তাব আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার নতুন গবেষণা মূলত আগের কাজেরই প্রতিফলন। এর আগে তার গবেষণা মানুষের ডিএনএকে প্রভাবিত করার আশঙ্কাসহ অনৈতিক ও বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। তার এই গবেষণা চললে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ডিএনএ প্রভাবিত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। তার পুরো ব্যাপারটি হলো পাগলামি। নৈতিকতা বিবেচনার পাশাপাশি একটি জটিল রোগকে মোকাবিলা করতে ভ্রুণের জিন সম্পাদনা মানুষকে তাদের জীবনের শেষ দিকে প্রভাবিত করে। অথচ এর স্পষ্ট ও একক কোনো জেনেটিক কারণ নেই। এটি অত্যন্ত সন্দেহজনক। একটি সংক্ষিপ্ত গবেষণা প্রস্তাবে জিয়ানকুই পরামর্শ দিয়েছিলেন, তার গবেষণায় ইঁদুরের সম্পাদিত জিন ও জাইগোট-মানব নিষিক্ত ডিম্বকোষের সঙ্গে রূপান্তর করে আলঝেইমার রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় কি না, তা পরীক্ষা করা হবে।

সর্বশেষ খবর