ইরানের সঙ্গে বহুদিন ধরেই কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই যুক্তরাষ্ট্রের। বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলে সেই চুক্তি থেকে আমেরিকাকে বের করে নেয়। এরপর থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরেও জো বাইডেন সেই চুক্তি পুনর্বহাল করেননি। নেপথ্যে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। সেই ‘নীরব কূটনীতি’র সুফল হিসেবে ইরান সে দেশে আটক পাঁচ মার্কিন নাগরিককে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি হিসেবে রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগার থেকে তাদের মধ্যে চারজনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এক হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যজনকে কয়েক সপ্তাহ আগেই একটি বাড়িতে আনা হয়েছিল।
মার্কিন বন্দিদের প্রতি এমন নরম আচরণের বদলে ইরানও কিছু ছাড় আদায় করতে চলেছে বলে জানা গেছে। গোপন আলোচনা সম্পর্কে অবহিত কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী পদক্ষেপ হিসেবে ইরান শর্তসাপেক্ষে ৬০০ কোটি ডলারের নাগাল পেতে পারে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে পেট্রোলিয়াম বিক্রি করে প্রাপ্য সেই অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ করা হয়েছিল।
এবার কাতারে বিশেষ এক অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ পাঠানো হবে। একমাত্র খাদ্য ও ওষুধপত্র কেনার মতো মানবিক প্রয়োজন মেটাতে ইরানের সরকার সেই ইউরো অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ ব্যয় করতে পারবে।