মরক্কোয় আঘাত হানা স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু ১ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত বহু মানুষ। ভূমিকম্প যখন আঘাত হানে বেশির ভাগ মানুষ ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। মুহূর্তে বহু ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত। ভূমিকম্পটি আল হাউজ, ওয়ারজাজেট, মারাকেচ, আজিলাল, চিচাউয়া এবং তারউদান্ত প্রদেশে আঘাত হানে। দেশটিতে ঘুরতে আসা যুক্তরাজ্যের রাসায়নিক প্রকৌশলীর শিক্ষার্থী ক্লারা (২১) আরও বলেন, সৌভাগ্যবশত আমরা দৌড়ে একটা ঐতিহাসিক বাড়ির নিচে অবস্থান নিই। ওই ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তখন আমাদের চারপাশের অনেক বাড়িঘর ধসে পড়ছিল। অনেক দুর্গম জায়গায় উদ্ধার তৎপরতায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দেলুয়াফি লাফিতিত বলেছেন, ধ্বংসস্তূপে এখনো আটকা পড়ে থাকতে পারে অনেকে। ওই জায়গায়গুলো কিছুটা দুর্গম। প্রাণের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দরাও। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, রাশিয়া, ইউক্রেন ও আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা এ ঘটনায় গভীর শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিবৃতিতে যে কোনো সহায়তা দিতে তার প্রশাসন প্রস্তুত বলে জানান। পুতিন ও জেলেনস্কি আলাদা শোকবার্তায় সমবেদনা জানিয়েছেন। ভূমিকম্পে আহতদের চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হাসপাতালের পরিবেশ। দেখা দিয়েছে তীব্র রক্ত সংকট। তবে রক্তদান কেন্দ্রে স্থানীয়দের লম্বা লাইন দেখা গেছে। যে যার মতো এগিয়ে আসছেন সহায়তায়। মরক্কোর রাবাত থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হাসান আলাউই জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যবশত আরও দুঃখজনক খবর হয়তো আমরা আরও পেতে পারি। এই মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে তা অনুমান করা কঠিন। কারণ কয়েকটি প্রদেশে আঘাত হানায় হতাহতের সংখ্যা নিরূপণ করা যাচ্ছে না এখনই। বিবিসি