বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মণিপুরে গাড়ি থেকে নামিয়ে তিনজনকে গুলি করে হত্যা

এ পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি প্রাণহানি। ঘর ছাড়া হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ

কোনোভাবেই শান্তি ফিরছে না ভারতের মণিপুর রাজ্যে। গতকাল কাংপোকপি জেলায় অন্তত তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে জেলার কাংগুই এলাকার ইরেং ও করম ভাইফেই গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় ওই তিন ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা কুকি-জো জনজাতি সম্প্রদায়ের লোক। কাংপোকপি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থলু রকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি গাড়ি থেকে কুকি সমাজের তিনজনকে নামিয়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীরা গুলি করে হত্যা করেছে। কোনো বন্দুকযুদ্ধ হয়নি বলে মনে হচ্ছে। দোষীদের ধরতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নেতাদের ফোরাম (আইটিএলএফ) মৃতদের শনাক্ত করেছে। তারা কোন অঞ্চলের বাসিন্দা, তা নিশ্চিত করেছে। অন্য একটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ঐক্য কমিটি জানিয়েছে, যারা হামলা চালিয়েছিল, তারা নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাকে ছিল। কিছুদিন আগে কেন্দ্রের গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো মণিপুরের রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাকে দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালাতে পারে। কয়েক মাস ধরে অশান্ত রাজ্যটির একাধিক এলাকায় প্রায়ই খুনোখুনি হচ্ছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের ঘর-বাড়িতে আগুন দিচ্ছে। মণিপুরে বিগত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে সংঘাত চলছে। এতে এ পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। ঘর ছাড়া হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

এর আগে ২৯ ও ৩১ আগস্ট উপজাতীয় কুকি এবং প্রভাবশালী মেইতিদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন নিহত হন। এ সময় ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের তিন কর্মীসহ আহত হন দুই ডজনেরও বেশি মানুষ।।

জাতিগত এ সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এমনকি এর জন্য মণিপুরের বিদ্যমান পার্বত্য পরিষদগুলোকে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন দিতে কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকার প্রস্তাব পাঠিয়েছে বলেও শোনা গেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরে এই সংঘাত থামাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন বলে বারবার অভিযোগ করছে ভারত ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ সংঘাতের কারণ এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি।

সর্বশেষ খবর