বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
জাতিসংঘ অধিবেশন

জলবায়ু সম্মেলনে থাকছে না যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। ঘুরেফিরে এবারের অধিবেশনে প্রাধান্য পাচ্ছে জলবায়ু বিষয়টি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এবারের অধিবেশনে অন্তত ১৪০ জনের বেশি নেতা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি অংশ নেবেন। দুই সপ্তাহের এ অধিবেশনে একাধিক বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হবে। জাতিসংঘের বার্ষিক আয়োজনের মধ্যে এ বিতর্কের প্রতি নজর থাকে বিশ্ববাসীর।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি হলো এমন একটি মুহূর্ত যখন প্রতি বছর বিশ্বের সব প্রান্তের নেতারা শুধু যে বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তা নয়, সাধারণ কল্যাণের জন্য কাজ করেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

অধিবেশনের শুরুতে বিশ্বের অতিদরিদ্রদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়াতে বৈশ্বিক ব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। দারিদ্র্যমুক্তির অঙ্গীকার নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে, যা এখনো অধরাই রয়ে গেছে। এসব সমস্যার মূলে জলবায়ু সমস্যা। অথচ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃস্বরণকারী দুই রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র ও চীন জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না।

গতকাল জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে ইচ্ছুক ৪১ দেশের বক্তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে আমেরিকা ও চীনের কোনো বক্তার নাম নেই। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে এ সম্মেলনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের ঘোষণা করে বলেছিলেন, এ সম্মেলনটির রয়েছে যথেষ্ট গুরুত্ব। কিন্তু জানা যাচ্ছে আমেরিকা ও চীন এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না। সম্মেলনে অংশ নিতে যেসব দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, কানাডা ও ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য : অর্থনীতির দোহাই দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় বাড়াচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেন, ব্রিটেনের জনগণকে দেউলিয়া করে পৃথিবী বাঁচাতে চায় না তার সরকার। গতকাল সুয়েলা ব্রেভারম্যান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নেট জিরো’ বা কার্বন নির্গমন শূন্যের কোটায় আনার লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাদের আরও বাস্তবমুখী হতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখবেন। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ অর্জনের যে লক্ষ্য তা পেছানোর ঘোষণা দিতে পারেন। তারই প্রেক্ষাপট তৈরি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেভারম্যান। আমাদের বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা করতে হবে, যা ভারসাম্যপূর্ণ ও লক্ষ্য পূরণ করে এবং আমরা এ পৃথিবী বাঁচাতে গিয়ে ব্রিটিশ জনগণকে দেউলিয়া করতে পারব না।

সর্বশেষ খবর