শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন এমবিএস

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন এমবিএস

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের ঐতিহাসিক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হচ্ছে। মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো নেতা বলেন, ‘প্রতিদিনই আমরা কাছাকাছি আসছি।’ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের এ-সংক্রান্ত আলোচনা স্থগিত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। এ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এখন একই পথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে বড় ধরনের চাপ আছে। মধ্যপ্রাচ্যের দুই আঞ্চলিক শক্তি সৌদি আরব ও ইসরায়েল। দুটি দেশই অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মিত্র হিসেবে পরিচিত। সাক্ষাৎকারে সৌদি প্রিন্স বলেন, তার রাজত্ব ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে আরও অগ্রগতি চাইছে। অথচ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থি সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন বাড়িয়েই চলছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন আবারও বাড়িয়ে দিয়েছে দখলদার রাষ্ট্রটি। এমবিএস হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত যুবরাজ বলেন, আমাদের জন্য ফিলিস্তিন ইস্যুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এ বিষয়টির সমাধান করতে হবে।

এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে পাঁচটি আরব দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। কিন্তু সৌদি আরব যেহেতু ইসলামের দুটি পবিত্র স্থানের (কাবা ও মসজিদে নববী) অভিভাবক তথা ইসলামের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত, তাই ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে রিয়াদের স্বীকৃতি মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে দেখা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কথিত একটি চুক্তিসহ নিরাপত্তার গ্যারান্টি চাইছে।

সাক্ষাৎকারে সৌদির যুবরাজ ইংরেজিতে বলেন, ‘আমরা কোথায় যাচ্ছি, তা দেখতে হবে। আমরা আশা করি, এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে পারব, যা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে সহজ করবে, আর ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্য একটি ক্রীড়নক হিসেবে পাবে।’

মার্কিন কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে একটি আঞ্চলিক বড় চুক্তির (সৌদি-ইসরায়েল) সম্ভাব্য সুবিধার কথা বলেছেন। এ চুক্তি হলে তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির একটি সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে। বিষয়টি বাইডেনকে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সুবিধা দিতে পারে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনের ফাঁকে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে সৌদি আরবকে নিয়েও আলোচনা করেছেন।

সর্বশেষ খবর