বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিজ দলের বিদ্রোহে পদচ্যুত মার্কিন স্পিকার

নিজ দলের বিদ্রোহে পদচ্যুত মার্কিন স্পিকার

২৩৪ বছরের মার্কিন ইতিহাসে এই প্রথমবার! হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি তার দলেরই আনা প্রস্তাবে হেরে গেছেন। অর্থাৎ যা ছিল কল্পনারও বাইরে, তাই ঘটল যুক্তরাষ্ট্রে। চূড়ান্ত ফলে ২১৬-২১০ ভোটে হেরে গেছেন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কংগ্রেসম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়া কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান দলের এই নেতা। সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য তহবিল নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ বা সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সমঝোতা করার পর দলের অতি রক্ষণশীলরা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। এ রকম আট এমপি ম্যাকার্থির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটরা তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস প্রায় সপ্তাহখানেক নেতাবিহীন থাকবে। রিপাবলিকানরা জানিয়েছে, তারা ১০ অক্টোবর ম্যাকার্থির উত্তরসূরি বেছে নিতে বৈঠক করবে। ১১ অক্টোবর আবারও ভোটের মাধ্যমে নতুন স্পিকার নির্বাচন করা হবে। হারের পর ম্যাকার্থি বলেছেন, ‘৫৫তম স্পিকার হিসেবে আমার যাত্রা শেষ হলো। স্পিকার হিসেবে প্রতিটি মিনিট আমি উপভোগ করেছি।’ ম্যাকার্থি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর স্পিকার হওয়ার জন্য লড়বেন না। এ অবস্থায় পরবর্তী স্পিকার কে হবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।  তবে নর্থ ক্যারোলিনার এমপি প্যাট্রিক ম্যাকহেনরির নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি এখন প্রোটেম স্পিকার হয়েছেন। ম্যাকার্থিকে অপসারণে প্রক্রিয়া শুরুর জন্য সোমবার রাতে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফ্লোরিডার রিপাবলিকান নেতা ম্যাট গেইটজ। ইউক্রেনকে তহবিল জোগানো অব্যাহত রাখতে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে গোপন চুক্তির জন্য স্পিকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন গেইটজ।

উল্লেখ্য, এর আগে গেইটজসহ কয়েকজন ডানপন্থি তাকে সমর্থন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত জানুয়ারিতে ১৫ দফা ভোটাভুটির পর স্পিকার হয়েছিলেন ম্যাকার্থি।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন পিয়েরে এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘আশা প্রকাশ করেছেন যে, হাউস দ্রুতই একজন স্পিকার নির্বাচিত করতে সক্ষম হবে’।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্টের পরেই স্পিকারের অবস্থান। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের অগ্রাধিকার ঠিক করা, কমিটিগুলোর কাজ ঠিক করা, এমনকি হোয়াইট হাউসের এজেন্ডাগুলো পাস করানো কিংবা ঠেকিয়ে দেওয়ার কাজও তিনি করে থাকেন।

এর আগে ২০১০ ও ২০১৫ সালে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ইতিহাস থাকলেও সেগুলো তখন সফল হয়নি।

সর্বশেষ খবর