নোবেল কমিটি থেকে যখন ফোন করা হয়, তখন তিনি ক্লাসে ব্যস্ত। একাধিকবার ফোন করেও তাকে পায়নি নোবেল কমিটি। ক্লাস চলাকালে ফোন ধরেননি তিনি। সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ক্লাসের বিরতিতে আবার ফোন এলে ধরেন। নোবেল কমিটি থেকে এক ব্যক্তি কথা বলার জন্য অ্যান লিয়েরের কাছে সময় চান। অ্যান বলেন, ‘আমি তো ব্যস্ত, ক্লাস নিচ্ছি।’ তখন অ্যানের থেকে ২-৩ মিনিট সময় চেয়ে নেন তিনি। তবে নোবেল জয়ের খবরে অনেকটাই নির্বিকার ছিলেন অ্যান। ফোন শেষে ফেরেন ক্লাসে। অ্যান লিয়েরকে ফোন করার বিষয়টি নোবেল কমিটি নিজের এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট দিয়েছে। নোবেল পুরস্কার পাওয়া অ্যানকে তার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আলাদা করা যায়নি। অ্যান লিয়ের সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। তার আগে মাত্র চারজন নারী বিজ্ঞানী পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, পদার্থের ইলেকট্রন ডাইনামিকস গবেষণায় আলোর অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন তৈরির পরীক্ষণলব্ধ প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। অ্যান সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে অ্যাটমিক ফিজিক্সের অধ্যাপক। তিনি যে দলটির নেতৃত্ব দেন তা রিয়েল টাইমে ইলেকট্রনের গতিবিধি নিয়ে পড়াশোনা করে; পারমাণবিক স্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়া বোঝার ক্ষেত্রে এ অধ্যয়ন প্রয়োজন। ১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অ্যান লিয়ের হলেন নারীদের মধ্যে পঞ্চম যিনি পদার্থে নোবেল পেলেন। পরে তিনি অনুভূতি ব্যক্ত করেন সাংবাদিকদের কাছে, ‘আমি ভীষণ আনন্দিত। এটি অর্জন করেছেন এমন নারীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। এই পুরস্কার তাই আমার কাছে অত্যন্ত বিশেষ।’ এই বিজ্ঞানীর দুজন ছেলে। পরিবার, সন্তান আর নিতান্ত সাধারণ জীবনযাপনের মধ্যে তিনি যে গবেষণায় ক্যারিয়ার গড়তে সক্ষম হয়েছেন, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন অ্যান।

 অ্যানের নোবেল প্রাপ্তির খবরে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।