বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হামাসের হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে এই মোহাম্মদ দেইফ

হামাসের হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে এই মোহাম্মদ দেইফ

ইসরায়েলের গর্ব করার মতো নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ধসিয়ে দিয়ে শনিবার সেখানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস। সম্ভাব্য কঠোর পরিণতি জানা সত্ত্বেও এ হামলা চালিয়ে শুধু ইসরায়েল নয়, পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছেন হামাসের সদস্যরা। ইসরায়েল বলছে, হামাসের এ হামলা অনেকটা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের জোড়া ভবনে আল-কায়েদার হামলার মতো। মক্কা ও মদিনার পর আল-আকসা মুসলিমদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র জায়গা। ২০২১ সালের মে মাসে আল-আকসায় অভিযান চালায় ইসরায়েল। হামাসের সূত্র জানায়, ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। তখন থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন দেইফ। অর্থাৎ দুই বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়ে ইসরায়েলের বিশেষ দিনেই তাদের শক্তির অহংকারকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। হামাসের কমান্ডার দেইফকে হত্যা করতে সাতবার চেষ্টা চালিয়েছে ইসরায়েল। সর্বশেষ চেষ্টাটি ছিল ২০২১ সালে। তবে প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। দেইফ সচরাচর প্রকাশ্যে আসেন না, কথা বলেন না। শনিবার হামাস-নিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলে যখন ঘোষণা দেওয়া হয় যে, মোহাম্মদ দেইফ কথা বলবেন; তখন ফিলিস্তিনিরা বুঝে গিয়েছিলেন, নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা ঘটেছে। রেকর্ড করা বার্তায় জাতির উদ্দেশে দেইফ বলেন, ‘আজ আল-আকসার আবেগের দিন, আপনাদের (হামাস যোদ্ধা) আবেগের দিন। আজ অপরাধীদের বুঝিয়ে দেওয়ার দিন, তোমাদের সময় শেষ হয়ে গেছে।’ মোহাম্মদ দেইফ হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের কমান্ডার। হামাস-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শনিবারের হামলার পেছনে দেইফ ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার একসঙ্গে পরিকল্পনা করেছেন। সিনওয়ার গাজায় হামাসের নেতা। মোহাম্মদ দেইফের জন্ম ১৯৬৫ সালে, খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে। দেইফের নাম ছিল মোহাম্মদ মাসরি। ১৯৮৭ সালে প্রথম ইন্তিফাদা শুরুর পর তিনি হামাসে যোগ দেন। তখন তাঁর নাম হয় মোহাম্মদ দেইফ।

সর্বশেষ খবর