শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত

জাতিসংঘের উদ্বেগ

গাজায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত

শিশুকাল থেকে যুদ্ধ-সংগ্রাম দেখতে দেখতে বড় হয়েছেন। এখন তিনি একজন বাবা। তার সন্তানরা এখন যুদ্ধের মধ্যে বড় হচ্ছে। গত পাঁচ দিন ধরে গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাতে বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপে সেই বাবা ও সন্তানরা -এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় আন্তর্জাতিক আইনকে তোয়াক্কা না করে ইসরায়েল নির্বিচার বিমান হামলা ও বোমাবর্ষণ চালাচ্ছে। এতে বিপর্যস্ত গাজার সাধারণ মানুষ। প্রাণভয়ে ইতোমধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। বাড়ছে মৃত্যুও। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা উপত্যকায় মানুষ গণহারে বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন!

গত শনিবার হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় বিমান-হামলা শুরু করে। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ উপত্যকায় বৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েল। বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু বুধবারই ৭৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এনিয়ে চার দিনে মোট ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ জন গৃহহারা হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান ও গোলা হামলায় ২ শতাধিক নারী-শিশুসহ ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত  হয়েছেন। দুই পক্ষই বলেছে, এ হামলায় নিহত মানুষের বেশির ভাগই অসামরিক! এদিকে, গাজা উপত্যকায় ‘সর্বাত্মক’ অবরোধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার এবং জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। গতকাল জাতিসংঘ জানায়, ইসরায়েলের বোমা হামালায় প্রায় ২৫৪০টি বাড়িঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত, প্রায় ২৩ হাজার বাড়িঘর হালকা ক্ষতিগ্রস্ত। এসবের জেরে বাস্তুচ্যুত প্রায় ৪ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। ১৫ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। বাকি ১ লাখের কিছু বেশি মানুষ তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে, গির্জায় ও গাজা সিটির বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে! বোমা হামলায় এভাবে বেসামরিক মানুষের অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংসের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বিবৃতিতে বলা হয়, বেপরোয়া বোমা হামলায় পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নোংরা পানিতে সড়ক ডুবে গেছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর