শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

‘যুদ্ধবাজ’ ইসরায়েল

অন্যের জায়গা দখল করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে ইহুদিরা। দেশটি ইসরায়েল। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হয়। আসলে সেই সময় ব্রিটেনের দখলে থাকা ফিলিস্তিনের কিছু এলাকা ‘স্টেট অব ইসরায়েল’-কে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটেনের এ সিদ্ধান্ত হতাশ করেছিল আরব দেশগুলোকে। বিরোধিতা করায় ওই বছরই মিসর, সিরিয়া, জর্ডান এবং ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ইসরায়েল।

গত সপ্তাহের শেষের দিকেই ইসরায়েলে আঘাত করে হামাস। এর জবাবে পাল্টা আঘাত হেনেছে ইসরায়েলও। গাজা উপত্যকায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে তারা। যদিও ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের এ সংঘাত নতুন নয়। প্রায় তিন দশক ধরে তা চলে আসছে। তবে ২০০৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এ সংঘাত চলছে।

ইসরায়েল রাষ্ট্র জন্ম নেওয়ার পর থেকেই একাধিক যুদ্ধ করে। পশ্চিম এশিয়ার স্থানীয় দেশগুলো এর বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের দামামা বেজে যায়। এখানেই শেষ নয়, ইয়েমেন, মরক্কো, সৌদি আরব এবং সুদানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে যোগ দেয়। যুদ্ধে আরব দেশগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত ভূমির অর্ধেক ইসরায়েল দখল করে নেয়। এর পরে ১৯৬৯ সালে সুয়েজ সংকটে ইসরায়েল মিসরের বিরুদ্ধে সিনাই যুদ্ধ করে। এটা দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ নামেও পরিচিত। ১৯৬৭ সালে সিরিয়া, জর্ডান, ইরাক এবং মিসরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ইসরায়েল। ছয় দিনব্যাপী ওই যুদ্ধে জয়ীও হয় তারা। আবার ওই একই বছরে ইসরায়েল আরও একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

যেখানে মিসর, জর্ডান ছাড়াও প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নও অংশ নেয়। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত চলা এ যুদ্ধে উভয়ই জয় দাবি করে। ১৯৭৩ সালে সংঘটিত হয়েছিল চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। আসলে ইয়ম কিপুর যুদ্ধ, যা অক্টোবর যুদ্ধ এবং চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ নামেও পরিচিত। এটিই ছিল শেষ যুদ্ধ, যেখানে ইসরায়েল নিজের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষে অবতীর্ণ হয়েছিল। মিসর, সিরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, ইরাক, মরক্কো এবং সৌদি আরব একজোট হয়ে এ যুদ্ধে সামিল হয়েছিল। আর মিসর-ইসরায়েল চুক্তির পর এ সংঘর্ষের অবসান ঘটে।

 

সর্বশেষ খবর