রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একাট্টা আরব নেতারা

অন্য কোথাও যদি মানুষকে ক্ষুধার্ত, এমন হামলা এবং বিদ্যুৎ, পানি ও প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে বঞ্চিত রাখা হতো তাহলে এর তীব্র নিন্দা জানাত বিশ্ব

মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির নেতৃত্বে শুরু হয়েছে শান্তি সম্মেলন। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলা বন্ধের চেষ্টা হিসেবে মিসরে শুরু হয়েছে শান্তি সম্মেলন। এ সম্মেলনে পশ্চিমাদের দ্বিমুখী হিসেবে অভিহিত করেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এ ছাড়া ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহও। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাও ইসরায়েলের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।

গতকাল মিসরের রাজধানী কায়রোতে শুরু হওয়া এই সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা একত্রিত হয়েছেন। এ ছাড়া এতে যোগ দিয়েছেন আফ্রিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর প্রতিনিধিরাও। পশ্চিমাদের সমালোচনা করে মিসরের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আজ কায়রোতে মিলিত হয়েছি খুবই কঠিন একটি পরিস্থিতিতে। যেটি  আমাদের মানবিকতা এবং মানবিকতার ওপর বিশ্বাসের দাবির পরীক্ষা নিচ্ছে। কয়েক শ বছর ধরে আমরা যে মানবিক সভ্যতার নীতি তৈরি করেছি সেটি কোথায়? দ্বিমুখী নীতি ছাড়া কোথায় নিরীহ মানুষের সমতা? মিসর পরিষ্কারভাবে এবং প্রকাশ্যে শান্তিপ্রিয় বেসামরিক মানুষদের হত্যার নিন্দা জানায়। গাজার সাধারণ মানুষের ওপর সামরিক আগ্রাসন চলার সময় যে বিশ্ব চুপ করে থাকতে পারে এ বিষয়টি তাকে আশ্চর্য করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, গাজার বাসিন্দাদের (মিসরের) সিনাই উপত্যকায় স্থানান্তরের বিষয়টির বিরোধিতা করেন তারা। কারণ তাদের সিনাইয়ে নিয়ে যাওয়া হলে ফিলিস্তিনিরা আর কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে না।

অন্যদিকে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইসরায়েলের বোমা হামলার সমালোচনা করে বলেছেন, গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা সবদিক দিয়ে নিষ্ঠুরতা। এটি অবরুদ্ধ ও নিরীহ মানুষের ওপর একটি সামগ্রিক নির্যাতন। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি যুদ্ধাপরাধ। নিষ্ঠুরতার মাত্রা যত ছাড়াচ্ছে, বিশ্ব যেন এটির ওপর ততই কম নজর দিচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, অন্য কোথাও যদি বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে ক্ষুধার্ত রাখা হতো, বিদ্যুৎ, পানি ও প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে বঞ্চিত করা হতো তাহলে এর নিন্দা জানানো হতো। তাৎক্ষণিকভাবে দোষীদের দায়ী করা হতো। অন্য দ্বন্দ্বগুলোর ক্ষেত্রে এটি করা হয়েছে। কিন্তু গাজার ক্ষেত্রে নয়।

জর্ডানের বাদশাহ আরও বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ক্ষুধার্ত রাখছে কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতা, আশা ও ভবিষ্যতের জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছে। ইসরায়েলের বোমা হামলা বন্ধ হওয়ার পর তাদের কখনো দায়ী করা হয় না। দখলদারিত্ব ও অবিচার চলতে থাকে এবং পরবর্তী সংঘাত শুরু না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ব দূরে থাকে।  ফিলিস্তিনি সংকটের কোনো রাজনৈতিক সমাধান করতে না পারার কারণেই আজ এই রক্তক্ষরণ      দেখা যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর