শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কানাডার সঙ্গে বিরোধ

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উদ্বেগ স্পষ্ট করেছে ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উদ্বেগ স্পষ্ট করেছে ভারত

ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘টু প্লাস টু’ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে যোগ দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন। এরপর গতকাল দুই মন্ত্রীর ভারতের সমপর্যায়ের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকের আগে আমেরিকা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’ অর্থাৎ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কীভাবে আরও ‘মুক্ত, অবাধ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধিশালী’ করে তোলা যায়, সংলাপের একটা বড় অংশে তা নিয়ে আলোচনা হবে।

আর ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বের যে ‘ভবিষ্যৎমুখী রোডম্যাপে’র রূপরেখা দিয়েছেন এই বৈঠকে দুই দেশের মন্ত্রীরা সেটাকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। দিল্লি ও ওয়াশিংটনে বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, এই সংলাপে দুই স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার দেশ যেমন নিজেদের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলবে, তেমনি এশিয়া-প্যাসিফিকের বৃহত্তর পরিসরে সার্বিক স্ট্র্যাটেজিক ইস্যুগুলোও আলোচনায় উঠে আসবে। তবে বৈঠকে আরও প্রাধান্য পেয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন ও কানাডায় শিখ নেতার হত্যাকান্ড।

কানাডায় খালিস্তানপন্থিদের ক্রমবর্ধমান কর্মকান্ড নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরেছে ভারত। গতকাল ‘টু প্লাস টু’ সংলাপে এই উদ্বেগ তুলে ধরা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেন, আমরা নিজেদের উদ্বেগের কথা খুব স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি।

মন্ত্রী পর্যায়ের ‘টু প্লাস টু’ সংলাপে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ভারতের পক্ষে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দিল্লির উদ্বেগের বিষয় যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পেরেছে উল্লেখ করে কোয়াত্রা বলেছেন, আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টে জুন মাসে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে কানাডিয়ান শিখ ‘জঙ্গি নেতা’ নিজ্জারকে হত্যায় ভারত সরকারের ‘সম্ভাব্য’ জড়িত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ তদন্ত করা হচ্ছে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা দেওয়ার পর বিরোধের সূত্রপাত হয়। এর পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর হাত রয়েছে বলে দাবি ট্রুডো সরকারের। ট্রুডোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই অভিযোগ অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অটোয়া ও নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক বহিষ্কার, বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত, ভারতীয় কানাডায় ভ্রমণ সতর্কতা জারি এবং কানাডার নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা দেওয়া সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর