বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইসরায়েল সন্ত্রাসী রাষ্ট্র : এরদোগান

ইসরায়েলকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এটি গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সংসদে দেওয়া এক ভাষণে এরদোগান ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কি না, না নেই তা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, হামাস একটি রাজনৈতিক দল, যারা নির্বাচনে জয়লাভ করে গাজার ক্ষমতায় এসেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এরদোগান আহ্বান জানিয়েছেন, তাদের কাছে পারমাণবিক বোমা রয়েছে কি না তা ঘোষণা করার জন্য। নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা একজন ‘ব্যর্থ ব্যক্তি, যার সফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই’ হিসেবে উল্লেখ করেছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

আরব নেতাদের সম্মেলন : পশ্চিম, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখিতাই গাজা সংকটের জন্য দায়ী। তারা বলছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে গণহত্যা চালাচ্ছে। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় তাদের সম্মতি রয়েছে, যা দ্বিমুখিতার পরিচয়। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ৫৭টি আরব ও মুসলিম দেশের সম্মেলনে নেতারা এ কথা বলেন। সম্মেলনে সৌদি যুবরাজসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। পরে চূড়ান্ত ইশতেহারে বলা হয়, ইসরায়েল গাজায় যে আগ্রাসন চালাচ্ছে এর জন্য পশ্চিমাকে চরম মূল্য দিতে হবে। জাতিসংঘ ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে। তবুও তাদের আগ্রাসন বন্ধ হয়নি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছে। সম্মেলনে ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি বলেন, আর কোনো কথা নয়। গাজা সংকটে হস্তক্ষেপ করার এটাই উপযুক্ত সময়।

গাজায় জন্ম নেবে আরও ১৫ হাজার শিশু : সোয়া মাসের একতরফা যুদ্ধে গাজায় অন্তত সাড়ে ১১ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। চলমান এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে জন্ম নিচ্ছে হাজারো শিশু। যুদ্ধবিধ্বস্ত এ অঞ্চলটিতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ আরও ১৫ হাজার শিশু জন্ম নেবে। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর প্রকাশ করেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, জীবনের এ অনিশ্চয়তার মধ্যেই ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ গাজায় আরও ১৫ হাজার শিশু জন্ম নিতে যাচ্ছে। এসব শিশুর সবাই ‘ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে গুরুতর ঝুঁকিতে এবং চিকিৎসাসেবা, খাবার পানিসহ খাদ্য সংকটের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, সন্তান জন্মদানকারীদের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ নারী প্রসবকালীন বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। জাতিসংঘের মতে, অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিদিন প্রায় ১৮০ নারী সন্তান প্রসব করেন। ওই বিবৃতিতে গাজায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার পানির সংকট, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাব রয়েছে। স্তন্যদানকারী নারীরা পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছেন না। এর মধ্যে তীব্র সংকটের সম্মুখীন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো হামলার শিকার হয়েছে, যা অন্তঃসত্ত্বা এবং নবজাতকসহ হাজার হাজার রোগীকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর