বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলনে ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি

দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলনে ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি

জাতিসংঘের জলবায়ু সম্পর্কিত বার্ষিক সম্মেলন কপের ২৮তম আসরে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা এই চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। তবে সমালোচনাও চলছে। সম্মেলনে প্রথমবারের মতো তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কয়েক দিনের আলোচনার পর সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো শেষ পর্যন্ত নতুন এই সমঝোতায় উপনীত হলো, যাতে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসতে সব দেশকে ভূমিকা রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে অনেক দেশের দাবি অনুযায়ী একবারেই বাতিল না করে ধীরে ধীরে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে নতুন চুক্তিতে। এএফপি জানায়, জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপের এবারের আসর বসেছিল আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। সেখানে সম্মেলনের শেষ দিনে ‘ট্রানজিশন অ্যাওয়ে’ চুক্তি সইয়ে একমত হয়েছেন প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসাই এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছে আয়োজক দেশ আরব আমিরাতের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী এবং কপ২৮-এর সভাপতি সুলতান আল-জাবের। এর আগে গ্লাসগো ও শার্ম আল শাইখে কপের আসরে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার জন্য ‘ফেজ আউট’ ও ‘ফেজ ডাউন’ শব্দগুলো ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক হয়। এ সম্মেলনে সেই বিতর্ক এড়াতে ‘ট্রানজিশন অ্যাওয়ে’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। চুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছে অনেক দেশ। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় উৎপাদক দেশগুলোর অন্যতম সৌদি আরব স্বাগত জানিয়েছে। তবে এর সমালোচনাও করছেন অনেকে। জলবায়ু পরিবর্তনের বেশি ঝুঁকিতে থাকা গরিব দেশগুলোর মধ্যে এই চুক্তি নিয়ে শঙ্কা আছে। যেমন সম্মেলনে পলিনেশীয় দেশ সামোয়া বলেছে, তারা প্রতিবাদ জানাবার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়নি। কপ২৮-এর প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দেশগুলো বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করেছে এবং বিশ্বকে একটি সঠিক পথের নির্দেশনা দিয়েছে। সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধি চুক্তিকে উচ্চাভিলাষী আখ্যায়িত করলেও এর প্রশংসা করেছেন। তবে সোমবার প্রকাশিত খসড়া চুক্তিটিতে জীবাশ্ম জ্বালানি ‘পর্যায়ক্রমে বন্ধ’ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে এই চুক্তিটিকে ‘দুর্বল’ বলে উল্লেখ করেছে অনেক দেশ।

সর্বশেষ খবর