আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বেথলেহেমে বড়দিনের কোনো সাজসজ্জা থাকবে না। সেভাবে উৎসব হবে না বেথলেহেমে। রবিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ক্রিসমাস শোভাযাত্রা হলো, তবে খুবই সংক্ষিপ্তভাবে। কার্ডিনাল পিজাবেলার সঙ্গে ছিলেন অল্প কিছু খ্রিষ্ট সন্ন্যাসী ও ভক্ত। পিজাবেলা হলেন ইসরায়েল, জর্ডন, সাইপ্রাস ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে ক্যাথলিক চার্চের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি। সাধারণত, বড়দিনের সময় বেথলেহেমে হাজার হাজার পর্যটক থাকেন। এ বছর কোনো পর্যটকই প্রায় নেই। যে হাজার হাজার পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের শহরের প্রাণকেন্দ্র ম্যাঞ্জার স্কয়ারে দেখা যেত, তাদের কেউই এখন নেই। পশ্চিম-তীরের বেথলেহেমের বাসিন্দা ম্যাডেলি বিবিসির সংবাদদাতাকে বলেন, ‘সুখ, আনন্দ, বাচ্চাদের হইচই, সান্তা কোনোকিছুই শহরটিতে নেই। নেই বড়দিনের কোনো আমেজ।’ বড়দিনের বিখ্যাত ক্রিসমাস ট্রি, সাধারণত স্কয়ারের একেবারে মাঝখানে থাকে, এখন সেটাও নেই। নেই কোনো ক্রিসমাসের সমবেত সংগীত বা দোকানের কেনাকাটার ভিড়। অস্বাভাবিক ফাঁকা নেটিভিটি চার্চের ফাদার ঈসা থালডিজিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘শহরটিকে এখন মৃতপুরীর মতো মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি ১২ বছর ধরে এ গির্জায় যাজক ছিলাম। আমি বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছি, এমন পরিবেশ আমি কখনো দেখিনি। এমনকি মহামারি কভিড-১৯ চলাকালীনও এমন পরিবেশ ছিল না।’