মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভূমিকম্প

বছরের প্রথম দিনই বিভীষিকা দেখল জাপান

৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামি

বছরের প্রথম দিনই বিভীষিকা দেখল জাপান

ভূমিকম্পের প্রভাবে অনেক রাস্তায় বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে -এএফপি

নতুন বছরের প্রথম মুহূর্ত। চারদিকে আনন্দের ফোয়ারা। সারা বিশ্বের মতো জাপানে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। মধ্যরাত থেকেই দেশের বিভিন্ন জনপদে উপাসনালয় ও মঠে শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও পারিবারিক জীবনের আনন্দ-সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা জানাতে সমবেত হয় মানুষ। কিন্তু এ আনন্দের মধ্যে যে বিশাদ আছড়ে পড়ল পুরো দেশটিতে। বছরের প্রথম দিনই পরপর জোরালো ভূমিকম্পের পর সুনামি আছড়ে পড়ে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে। ইশিকাওয়ায় ওয়াজিমা শহরে প্রথম সুনামি আছড়ে পড়ে। জাপানের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উপকূলে ১.২ মিটার উঁচু সুনামির প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ইশিকাওয়ার নোতো এলাকায় ৫ মিটার উঁচু সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

গতকাল বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টা নাগাদ শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬। ভূমিকম্পের পরই ইশিকাওয়া, নিগাতা ও তোয়ামা অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। উপকূল ছেড়ে জনগণকে দ্রুত উঁচু ভূমি বা নিকটবর্তী ভবনের চূড়ায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী টোকিওতেও।

স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৬ মিনিট থেকে ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ২০ বার ভূমিকম্প হয়েছে জাপানে। প্রতি ক্ষেত্রে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ বা তার বেশি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, উপকূলসংলগ্ন একাধিক শহরে সুনামি দেখা গেছে। ফুঁসে উঠেছে সমুদ্র।

ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটির ৫০ কিলোমিটার গভীরে। সূত্রের খবর, জাপানে পরপর ২১ বার তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাশিয়া, কোরিয়ায়ও। জাপানের একাধিক শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎহীন ৩৩ হাজার পরিবার।

এদিকে আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যম গত রাতে জানায়, এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে এবং এর আশপাশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা যায়নি। ইশিকাওয়ার হোকুরিকুতে অবস্থিত শিকা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গতকালের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত।

সর্বশেষ খবর